সোমবার দেশের টিকানীতিতে আমূল বদল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন দেশের সব নাগরিককেই বিনামূল্য়ে টিকা দেওয়া হবে। দেশে উৎপাদিত ৭৫ শতাংশ টিকা কিনবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর বাকি ২৫ শতাংশ টিকা কিনবে দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রগুলি। মঙ্গলবার বেসরকারি ক্ষেত্রেও টিকার দাম বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা টিকাকে লাভজনক করার অভিযোগ তুলছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তারই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন আর স্পুটনিক ভি- দেশে প্রাপ্ত তিনটি কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারে পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের দাম পড়বে ডোজ প্রতি ৭৮০, কোভ্যাক্সিনের দাম ১হাজার ৪১০ টাকা। আর রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভিএর দাম পড়বে ১ হাজার ১৪৫ টাকা। এই দামের মধ্যেই পড়বে সমস্ত ট্যাক্স ও ১৫০ টাকা সার্ভিস চার্জও।
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে বেসরকারি হাসপাতারগুলি পরিষেবা চার্জ যাতে ১৫০ টাকার বেশি না নেয় তার দিয়ে বিশেষ নজর রাখতে। রাজ্য সরকারকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নিয়মিত নজরদারী চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশি টাকা নিয়ে যেকোনও বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ৪৪ কোটি করোনা টিকার ডোজেরও অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরাকরের পক্ষ থেকে এদিন সংশোধিত টিকা নীতিও ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার টিকা সংগ্রহ করে রাজ্যগুলিকে দেবে। তবে রাজ্যগুলিকে টিকা অপচয় নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা, জনসংখ্যার ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে টিকা সরবরাহ করবে।