স্যানিটাইজারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে মৃত্যু ২ শ্রমিকের, মহারাষ্ট্রের রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণ

চাহিদা মেটাতেই খোলা হয়েছিল রাসায়নিক কারখানা
স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড ওয়ার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল
সোমবার দুপুরে মহারাষ্ট্রের একটি রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণ
মৃত্যু ২ শ্রমিকের আহত হয়েছেন ১ জন

Asianet News Bangla | Published : Apr 13, 2020 10:46 AM IST

দেশের  ক্রমশই বাড়ছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সোমবারই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। অনেকেই অবশ্য সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে বড়ই প্রয়োজনীয় স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড ওয়াস। সংক্রমণ থেকে নিজেকে ও পরিজনদের বাঁচাতে গোটা দেশেই চাহিদা বেড়েছে স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড ওয়াসের। তাই লকডাইনের সময়ও জরুরী পরিষেবার জন্য খোলা ছিল কারখানা। আর মহারাষ্ট্রের তারাপুরে সেই কারখানার স্যানিটাউজার ও হ্যান্ড ওয়াস তৈরির  ইউনিটে সোমবার প্রায় ৬৬ জন কর্মী কাজ করছিলেন। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটে তারাপুর শিল্পাঞ্চলের রাসায়নিক জোনের ওই কারখানায়। 

সোমবারের বিস্ফোরণে বিজয় সাওয়ন্ত (৪৪) ও সমীর খোজে (৪৮) নামে ২ শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর জখম অবস্থায় রুনাল ঠাকুরকে  (৩৫) ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয়  একটি হাসপাতালে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা। প্রায় পাঁচ কিলোমাটার দূর থেকেই শুনতে পাওয়া গিয়েছিল শব্দ। আগুনও লেগেছিল কারখানায়।  দমকলের দুটি ইঞ্জিন দ্রুততার সঙ্গে আগুন আয়ত্বে আনে। তবে কী করে এই বিস্ফোরণ তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। 

অরও পড়ুনঃ করোনা-সৈনিকদের সঙ্গে চরম বর্বরতা পঞ্জাবে, লকডাউনে হাত কাটা হল পুলিশের
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের মধ্যেই এইচডিএফসির শেয়ার অধিগ্রহণ চিনের ব্যাঙ্কের, দেশের কর্পোরেট সংস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ
আরও পড়ুনঃ এক মাসের সন্তান কোলে অফিসে মা, মাতৃত্বের সঙ্গে কর্তৃব্যের অপূর্ব মেলবন্ধন

মহারাষ্ট্র সরকারে নিয়ন্ত্রণে এই রাসায়নিক কারখানা।  স্যানিটাইজার ও  হ্যান্ড ওয়াসের চাহিদা মেটাতে এই লকডাউনের সময়ও কারখানা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিনই ছিল উৎপাদনের প্রথম দিন।  শ্রমিকদের ও ম্যানেজমেন্টের অল্প সংখ্যক আধিকারিকদেরই নিয়ে আসা হচ্ছিল। ২৫০ জন কর্মী থাকলেও প্রতিদিন ১০৫ জনকে কারখানায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। নিজের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে উপস্থিতি স্থির করেই চরম এই সংকটের সময় কারখানার উৎপাদন চালু রাখার চেষ্টা করছিলেন কর্মীরা। কিন্তু তার মধ্যে কী করে এই বিস্ফোরণ ঘটে গেল তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। 
 

Share this article
click me!