করোনার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য টিকা নেওয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, যেসব দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যাঁরা টিকা নিয়েছেন তাঁরা তুলনায় কম করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর হলেও তাঁদের হাসপাতালে ভর্তিও হতে হচ্ছে না।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আগেই দেশবাসীকে সতর্ক করেছিলেন তিনি। আর ফের একবার সবাইকে সতর্ক করলেন এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন করোনা প্রজাতি ও করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পরই দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তবে এর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সামাজিক দূরত্ববিধি, মাস্কের ব্যবহার ও টিকা নেওয়া খুবই প্রয়োজন। তাহলেই একমাত্র তৃতীয় ঢেউকে আটকানো সম্ভব।
দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর কী পরিস্থিতি হতে পারে তা নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আইআইটির একটি মডেলে দেখানো হয়েছে, যদি সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয় এমনকী, ভাইরাসের কোনও প্রজাতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে সমর্থ হয় তাহলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউ আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে।" তবে যদি কিছু বিধিনিষেধ বজায় রাখা হয় আর ভাইরাসও যদি রূপ পরিবর্তন না করে তাহলে তৃতীয় ঢেউ খুব একটা বড় আকার নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
করোনার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য টিকা নেওয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, যেসব দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যাঁরা টিকা নিয়েছেন তাঁরা তুলনায় কম করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তাঁদের হাসপাতালে ভর্তিও হতে হচ্ছে না। এর থেকেই স্পষ্ট যে টিকা বেশ ভালো ভাবেই কাজ করছে।
আরও পড়ুন- স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে ১০০ কোটির আবেদন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাত পাতলেন বাংলার বিধায়ক
তবে দেশে এখনও টিকার সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। এখনও বেশ কিছু জায়গাতে টিকার আকাল দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শুনিয়েছেন গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড ও স্পুটনি ভি নয় শীঘ্রই দেশে আরও কয়েকটি সংস্থার টিকা এসে পৌঁছাবে। তাহলে টিকার আকাল অনেকটাই মিটবে।
তবে ঠিক কবে দেশে আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউ? এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের অতিমারি বিশেষজ্ঞ সমীরণ পান্ডা জানিয়েছেন, অগাস্টের শেষের দিকেই আছড়ে পড়বে এই ঢেউ। তৃতীয় ঢেউ যে আছড়ে পড়বে তা অনিবার্য। তবে তার ভয়াবহতা কতটা হবে সেটা অনেকটাই দেশবাসীর উপর নির্ভর করছে। কারণ করোনা বিধি মেনে কেউ যদি জমায়েত এড়িয়ে চলেন তাহলেই এই ঢেউয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। না হলে তা দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।