সংশোধিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে স্টেরয়েডের মত ওষুধগুলি আক্রমণাত্মক মিউকারমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসএর মত সেকেন্ডারি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এজাতীয় ওষুধগুলি দ্রুত ব্যবহার না করাও শ্রেয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেশে ৫১৭৭৫ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
কোভিড-১৯ (Covis-19) চিকিৎসায় নতুন নির্দেশিকা (Covid Treatment Guidlines) জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Minisrty) নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে এবার থেকে করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত রোগীদের আর স্টেরয়েড দেওয়া যাবে না। তবে দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনও রোগীর সর্দি ও কাশির সমস্যা থাকে তাহলে তাদের অবশ্যই যক্ষ্মা পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রের তৈরি টাক্স ফোর্সের সদস্যা দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় অতিরিক্ত ওষুধের ব্যবহার নিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সংশোধিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে স্টেরয়েডের মত ওষুধগুলি আক্রমণাত্মক মিউকারমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসএর মত সেকেন্ডারি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এজাতীয় ওষুধগুলি দ্রুত ব্যবহার না করাও শ্রেয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেশে ৫১৭৭৫ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
হালকা ও মাঝারি ও গুরুতর- তিন ধরনের কোভিড সংক্রমণের জন্য প্রয়োজন হলে ওষুধের ডোজও কমাতে হবে। দুই থেকে তিন সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে রোগীদের যক্ষ্মা পরীক্ষা করাতে হবে। গত সপ্তাহেই নীতি আয়োগের সদস্য ও কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য ভিতে পল স্টেরয়েডের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সংশোধিত নির্দেশিকা অনুযায়ী শ্বাসকষ্ট বা হাইপোক্সিয়া ছাড়া শ্বাসযন্ত্রের উপসর্গগুলিকে হালকা রোগ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এইধরনের রোগীদের বাড়িতে বিচ্ছিন্নভাবে থাকা ও যন্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যারা মৃদু কোভিড রোগী তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধে ও প্রবল জ্বর বা পাঁচ দিনের বেশি সময় ধরে কাশি রয়েছে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান হয়েছে । বলা হয়েছে, ৯০-৯৩ শতাংশের মধ্যে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের ওঠানামা করে যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তারা প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে। কারণ অনেক সময়ই তাঁদের অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধিত নির্দেশিকায় রেমডিসিভিরের ব্যবহার নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে ১০ দিন ধরে যাদের মধ্যে কোভিড-১৯এর উপসর্গ রয়েছে। অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে তাদেরই কেবল মাত্র এজাতীয় ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। তবে ভেন্টিলেটরে রয়েছে বা একমোতে রয়েছে এমন রোগীদের এই ওষুধ দেওয়া যাবে না।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক বা যাদের কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিস বা হাইপারটেনশন ও করোনারি আর্টারি ডিজিজ ডায়াবেটিশ মিলেটাস ও অন্যান্য ইমিউনোকস্প্রমাইড স্টেট যেমন এইচআইভি সক্রিয় যক্ষ্ণা দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুস ও কিডনির সদস্য রয়েছে তাঁদের এখনও কোভি১৯ এর ঝুঁকি রয়েছে। কোভিড আক্রান্ত হলে সাবধানতা প্রয়োজন। অসতর্ক হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলেও বলা হয়েছে।
COVID-19: কোভিড ১৯ সংক্রমণ রুখে দেয়, এমন জিনের সন্ধান পেলেন বিশেষজ্ঞরা
Covid 19 কোভিড আক্রান্ত পুরুষদের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য কমছে, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
UP Assembly Poll 2022: ১০ হাজার কর্মীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা, 'টিম বারাণসী'কে অনেক পরামর্শ