গত বছর ডিসেম্বরে চিনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণের হদিশ পাওয়া যায়। তারপর থেকে ক্রমেই বিশজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। নতুন এই ভাইরাসের প্রকৃতি নিয়ে এখন পরীক্ষা নীরিক্ষা চালাচ্ছেন বিশ্বজুড়ে গবেষকরা। কিন্তু বারবার নিজেকে পরিবর্তন করে চলেছে আইসিএমআর। তাই প্রথমেবর দিকে ভাইরাসটি কেবল শীতের দেশেই সক্রিয় বলে দাবি করা হলেও এখন ভারতের মত গ্রীষ্মপ্রধান দেশেও জাকিয়ে বসেছে করোনাভাইরাস। এরমধ্যেই মারণ ভাইরাসটির বাতাসে ভেসে থাকা নিয়ে নানা জায়গা থেকে নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই নিয়ে আশ্বাস বাণী শোনাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ।
প্রথমের দিতে গবেষকরা দাবি করেছিলেন করোনাভাইরাস বাতাসে বেঁচে থাকতে পারে না। যদিও পরে একাধিক বিজ্ঞানি দাবি করেন নিজেকে আপডেট করা ভাইরাসটি এখন ঘণ্টা খানেকের জন্য বাতাসে বেঁচে থাকতে সক্ষম। ফলে বাতাস থেকেও এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। তবে সাংবাদিক সম্মেলন করে আইসিএমআরের প্রধান বিজ্ঞানী জানিয়ে দিলেন বাতাসে করোনা ভাইরাসের বেঁচে থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি।
আশঙ্কার কালো মেঘ আরও ঘনীভূত, পরিসংখ্যান বলছে দেশে ৬ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াবে ১০ লক্ষ
করোনাভাইরাস আসলে সরকারের চক্রান্ত, বিস্ফোরক পোস্ট করে শ্রীঘরে গেল যুবক
করোনা মোকাবিলায় চাই প্রচুর টাকা, তাই নাকি বিক্রি হচ্ছে মোদীর সাধের 'স্ট্যাচু অফ ইউনিটি'
বিজ্ঞানী রমন গঙ্গাখেদকের কথায়,"এখনও পর্যন্ত বাতাসে করোনাভাইরাসের ঘুরে বেড়ানোর কোনও প্রমাণ নেই।" আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি এবং লালা থেকেই অন্যের শরীরে এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
গত ২দিনে দেশে করোনা সংক্রমণ ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও ভারতে এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি বলেই দাবি করছে আইসিএমআর। দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কেজের দেলে দেশজুড়ে সংক্রমণ বাড়লেও এই ঘটনাকে গোষ্ঠী সংক্রমণ মানতে নারাজ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ।