সন্দেহজনক উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি হলেন হাসপাতালে। কিন্তু তিনি আদৌও করানো আক্রান্ত কিনা, তা বুঝতেই তো অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে। আসানসোলে করোনা চিহ্নিতকরণে ল্যাবরেটরি তৈরির উদ্যোগ নিলেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। বাবুলের মতে, রোগ নির্ণয় করে করোনা আক্রান্তকে যদি আলাদা করে রাখা যায়, সেক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ানো আটকানো যাবে।
কলকাতায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত জন্য় আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু হয়ে গিয়েছে। জ্বর, সর্দি-কাশি কিংবা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে কেউ ভর্তি হলে, দ্রুত তাঁর সোয়াব বা লালারস পরীক্ষাও বন্দোবস্ত রয়েছে। কিন্তু জেলা শহর কিংবা মফঃস্বলে তেমন পরিকাঠামো নেই। আসানসোলে যদি সন্দেহজনক কেউ ধরা পড়লে, তাঁর সোয়াব বা লালারস পরীক্ষা জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কলকাতায়। রিপোর্ট আসতে কমপক্ষে পাঁচ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। স্থানীয় সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, 'কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে শনিবার রাতেই আসানসোল-দুর্গাপুরের জন্য করোনা চিহ্নিতকরণের ল্যাব চালুর দাবি জানিয়েছিলাম। সোমবার লিখিতভাবে তাঁকে এই আবেদন ফের করলাম।' সূত্রের খবর, চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের দ্বিতীয় জনবহুল শহর আসানসোল। কলকাতার মতোই এই শহরেও যে COVID-19 পরীক্ষার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয় এবং আরও বেশি করে কিট পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিপত্তি, ভিন রাজ্যে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে বীরভূমের বহু মানুষ
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ আসানসোলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন স্কটল্যান্ড ফেরত এক মহিলা ও তাঁর চারবছরের শিশু। এমনকী, ওই মহিলার স্বামীও ছিলেন হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে। পরের দিন আবার ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার ফেরত এক যুবকও ভর্তি হন আইসোলেশন ওয়ার্ডে। তাঁদের লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার জন্য যথারীতি পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে পাঁচদিন পর। সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ের বক্তব্য, আসানসোলে যদি করোনা টেস্টিং ল্যাব হয়, তাহলে দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, এমনকী পুরুলিয়ার রোগীরাও উপকৃত হবেন। চাপ কমবে কলকাতায় ল্যাবরেটরিগুলিতেও।