করোনার দাপটে বন্ধ হয়ে গেল পার্ক স্ট্রিটে ম্যাগমা হাউসের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শাখা। সেই শাখার ৪৬ জন ব্যাঙ্ককর্মীর মধ্যে ৩৫ জনই সংক্রমিত। পাশাপাশি শেক্সপিয়র সরণিতে অবস্থিত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আরও একটি শাখার বেশিরভাগ কর্মীই আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও সেই শাখা এখনও পর্যন্ত বন্ধ করা হয়নি।
রাজ্যে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ (Daily Corona Cases)। বড়দিন ও বর্ষশেষের রাতের পর থেকেই রাজ্যে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৯ থেকে ১৪-র গণ্ডি পার করে গিয়েছে। তার মধ্যে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা। কারণ সেখানেই সংক্রমিতের সংখ্যা সবথেকে বেশি। শহরের প্রায় সব প্রান্তেই থাবা বসাচ্ছে করোনা। আর এবার করোনার (Corona) দাপটে বন্ধ হয়ে গেল পার্ক স্ট্রিটে (Park Street) ম্যাগমা হাউসের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (State Bank Of India) শাখা। সেই শাখার ৪৬ জন ব্যাঙ্ককর্মীর (Bank Staff) মধ্যে ৩৫ জনই সংক্রমিত। পাশাপাশি শেক্সপিয়র সরণিতে অবস্থিত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আরও একটি শাখার বেশিরভাগ কর্মীই আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও সেই শাখা এখনও পর্যন্ত বন্ধ করা হয়নি। যআপাতত জারি রয়েছে পরিষেবা।
বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department) প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রেকর্ড লাফে রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১৪ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা (Kolkata)। কারণ রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়। শুধু কলকাতাতেই একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৭০ জন।
আরও পড়ুন- রাজ্যে ১৪ হাজারের গণ্ডি পার করল দৈনিক সংক্রমণ, কলকাতায় আক্রান্ত ৬১৭০ জন
এই পরিস্থিতির হাত থেকে কোনওভাবেই রেহাই পাচ্ছেন না প্রথম শ্রেণির করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক ও পুলিশকর্মীরা। একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা। এমনকী এবার করোনা থাবা বসিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরেও। সেখানে ৬৬ জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষারা জন্য পাঠানো হয়েছিল কল্যাণীতে। রিপোর্ট আসার পর জানা যায় তাঁদের মধ্যে ৬৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ।
আরও পড়ুন- এবার করোনার হানা স্বাস্থ্য ভবনেও, আক্রান্ত ৬৬ জন
করোনার এই বাড়বাড়ন্তের মাঝেই হোম আইসোলেশনের নিয়মে বদল এনেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হোম আইসোলেশনের ক্ষেত্রে ১৪ দিনের সময় কমিয়ে করা হল ৭ দিন। সেক্ষেত্রে রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ৭ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। এর মধ্যে টানা তিনদিন জ্বর না এলে ৭ দিনেই আইসোলেশন শেষ হয়ে যাবে। আরও জানানো হয়েছে, ৭ দিন আইসোলেশনের পর উপসর্গহীনদের দ্বিতীয়বার পরীক্ষাও করাতে হবে না। পাশাপাশি, আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা উপসর্গহীনদেরও করোনা পরীক্ষা করাতে হবে না, শুধুমাত্র চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা করালেই চলবে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে করোনা আক্রান্তদের ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।