ওষুধের বোতলে মুখ দিলেই চড়ছে নেশা, লকডাউনের মাঝে চাঞ্চল্যকর পর্দাফাঁস কল্যাণী গ্যাং-এর

  • করোনা সতর্কতায় লকডাউন চলছে
  • রাজ্যে বাড়ছে মদের চাহিদা
  • মদ বিকোচ্ছে ওষুধের বোতলেও
  • রমরমিয়ে ব্যবসা চলছে উলুবেড়িয়ায়
     

Tanumoy Ghoshal | Published : Apr 7, 2020 11:07 AM IST / Updated: Apr 07 2020, 05:17 PM IST

হোমিওপ্যাথি ওষুধের লেভেল সাঁটা বোতলে কিনা বিকোচ্ছে কারণ সুধা! লকডাউনের মাঝে রমরমিয়ে মদের কারবার চলছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় বেশ কয়েকটি জায়গায়। চোলাই মদের কারবারীদের যে পুলিশ গ্রেফতার করবে, সে উপায়ও  নেই।  করোনা সংক্রমণের ভয় পাচ্ছেন আইনের রক্ষকরা। তবে মাইকে প্রচার ও মদ বাজেয়াপ্ত করার কাজ চলছে জোরকদমে।

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে 'ব্রাত্য' জামাই, শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই মিলল না যুবকের

লকডাউনের জেরে বাইরে বেরনোর উপায় নেই। ঘরবন্দি হয়ে দিন কাটছে বেশিরভাগ মানুষ। মদের চাহিদাও বাড়ছে হুহু করে। বিদেশি মদ তো বটেই, তিন থেকে চারগুণ দামে কালোবাজারি চলছে বাংলার মদেরও! দাম যাই হোক না কেন, বাড়িতে বসে যদি মদ পাওয়া যায়, তাহলে মন্দ কি! ফলে ক্রেতারও অভাব হচ্ছে না। কিন্তু পুলিশের নজরদারি যে চলছে রাজ্যের সর্বত্রই! ব্যবসা চালানোর জন্য এক অভিনব কৌশল বের করেছেন মদের কারবারীরা। 

হাওড়ার উলুবেড়িয়ার রাজাপুর এলাকার থাকেন কল্যাণী পালুই। এলাকার আরও ৫০ জন মহিলাকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন ওই গৃহবধূ। তিনি জানালেন, পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য মদের বোতলে সেঁটে দেওয়া হচ্ছে হোমিওপ্যাথি ওষুধের লেভেল! ওষুধ খাওয়ার আজুহাতে বাড়িতে দিব্যি নেশার বসাচ্ছেন পুরুষেরা। এভাবেই লকডাউনের মাঝেও মদের কারবার চলছে উলুবেড়িয়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে, এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোজই ৪০ থেকে ৫০ লিটার করে মদ বাজেয়াপ্ত করছেন প্রমীলাবাহিনী। কিন্তু মদের কারবারীদের আর বাগে আনা যাচ্ছে কই!

আরও পড়ুন: মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে করোনা, টোটকা দিলেন কলকাতার 'বদ্যি'

আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে মোমবাতি জ্বালালেন ভবঘুরেরাও

এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে এখন সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে পুলিশকে। গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কায় কাউকে গ্রেফতারও করা যাচ্ছে না। মাইকে প্রচার চলছে, খবর পেলে মদ বাজেয়াপ্তও করছেন আবগারি দপ্তরের আধিকারিরা। উলুবেড়িয়ায় আবগারি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অমিত কাঞ্জিলাল বলেন, কার শরীরে করোনা ভাইরাস আছে, কার শরীরের নেই, তা বোঝা সম্ভব নয়। এখন যদি মদ কারবারীদের ধরতে গিয়ে যদি গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে আরও বড় বিপর্যয় ঘটে যাবে। 

Share this article
click me!