করোনাভাইরাস নিয়ে তথ্য চাপার অভিযোগ চিনের বিরুদ্ধে
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে চিন
তথ্য বলছে অন্য কথা
জানুয়ারির প্রথম থেকে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে চিনে
আমরা প্রথমে চোখ রাখব করোনাভাইরাসের আঁতুড় ঘর চিনের উনান শহরে। চন্দ্র নববর্ষের অনুষ্ঠান। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কয়েক লক্ষ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন উনান শহরে। খাওয়া দাওয়ার এলাহী আয়োজন ছিল। অনেক বিদেশি পর্যটকেরও অংশ নিয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। চিনা আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান এই অনুষ্ঠান থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। কারণ একটি তথ্য বলছে ৫ জানুয়ারি থেকে ১৭ কয়েকশো মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন উনানের একাধিক হাসপাতালে। আর চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং স্থানীয় জনতাদের আশ্বস্ত করতে ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করতে পথে নামেন ২০ জানুয়ারি। ততদিনে শুধু চিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজারে পৌঁছে গেছে।
নবর্ষের এই অনুষ্ঠানের প্রায় ৬ দিন আগেই প্রথম করোনাভাইরাসের কথা জানতে পারেও চুপচাপ ছিলেন চিন সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা। আর প্রেসিডেন্ট যখন চিনাদের ভাইরাসটি সম্বন্ধে সতর্ক করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ততক্ষণে প্রায় ১৪ দিনের দেরি হয়েগিয়েছিল। রীতিমত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল এই মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ। কারণ প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায় ১৩ জানুয়ারি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম উনান শহরেই দেখা গিয়েছিল কিনা সে সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে প্রথম দেশ হিসেবে চিনের এই দেরির কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারীর চেহারা নিয়েছে বলেই অভিযোগ একাংশ বিশেষজ্ঞদের। চিন যদিও আরও আগে সচেতন হত তাহলে সম্ভবত মরামারী এড়ানো যেত বলেই মনে করছেন অনেকে।