চিনে ফের ঘনাচ্ছে আশঙ্কার মেঘ, উহানে নতুন করে দেখা দিয়েছে করোনা সংক্রমণ

  • চিনে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমণ
  • ৭৮ জনের শরীরে মিলেছে সংক্রমণ
  • এদেরে অধিকাংশই বিদেশ থেকে এসেছেন
  • এমনটাই দাবি করছে চিনা প্রশাসন

Asianet News Bangla | Published : Mar 24, 2020 8:42 AM IST / Updated: Mar 24 2020, 02:18 PM IST

করোনা ভাইরাসের কেন্দ্র হিসাবে উঠে এসেছিল চিনের উহান প্রদেশের নাম। বলা হয়েছিল ইউহান প্রদেশই এই মারণ ভাইরাসের এপিসেন্টার। ধীরে ধীরে চিনে মহামারির আকার ধারণ করে করোনা। করোনায় চিনে মৃত্যু হওয়া অধিকাংশ মানুষই ছিল এই প্রদেশের বাসিন্দা। আর সেই চিনই করোনা লড়াইয়ে গত কয়েকদিনে আশার আলো দেখিয়েছে বিশ্বকে। গত ডিসেম্বরে সংক্রমণ ছড়ানোর পর ৩ মাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে চিন। তার ফল হিসাবে চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে। এমনকি গত ১৯ মার্চ থেকে টানা ৩দিন  চিনে নতুন করে সংক্রমণের খবরও আর সামনে আসেনি। তবে সম্প্রতি নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দেশটিতে। মঙ্গলবারই চিনা ভূখণ্ডে নতুন করে ৭৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে।

চিনে নতুন করে করোনা সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হলেও প্রশসান যুদ্ধি দিচ্ছে, বাইরে থেকে আগতদের থেকেই এবার করোনা ছড়াচ্ছে দেশটিতে। ৭৮ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৭৪ জনই বিদেশ থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছে চিনা প্রশাসন।  

রাজপথে ছেড়ে দিয়েছেন ক্ষুধার্ত বাঘ-সিংহ, এভাবেই নাকি রাশিয়ায় করোনা আটকাচ্ছেন পুতিন

মাত্রা ৪ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়াল , এখন করোনা সংক্রমণে বিশ্বের ৪ লক্ষ মানুষ

করোনা আক্রান্তদের জন্য আলাদা হাসপাতাল, ২ সপ্তাহে তৈরী করলেন মুকেশ অম্বানি

সোমবার পর্যন্ত চিনে বিদেশ থেকে আসা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৭ জন। নতুন করে রাজধানী বেজিং-এ করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ৩১ টি। এরপরেই রয়েছে গুয়াংডং প্রদেশ। 

যদিও বর্তমানে চিনের  পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক।  লকডাউন শেষ হওয়ার পর জীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সেখানে ৷ আটকে পড়া পর্যটকরাও ফিরতে শুরু করেছেন ৷ তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার শরীরে করোনা নিয়েই দেশে ফিরছেন বলে আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে ৷ তবে চিনের বিপদ এখনো কাটেনি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হংকং ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ বেন কাউলিং জানিয়েছেন, ‘‘কড়াকড়ির কারণে চিন করোনা সংক্রমণের প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে ৷ কিন্তু এই কড়াকড়ি দীর্ঘমেয়াদে থাকবে না৷ সেক্ষেত্র দ্বিতীয় ধাক্কা আসলে কী হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে''।

গত তিনমাসে চিনে মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ছাড়িয়েছে।  মৃত্যু হয়েছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। এর আগে ২০০২ সাল থেকে চিনে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে আরেকটি রোগ, সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম)।  সেইসময় সার্স ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল, আর ৮০৯৮ জন সংক্রামিত হয়েছিলেন। সেটিও ছিল এক ধরণের মারণ ভাইরাস।


 

Share this article
click me!