করোনার থাবায় বন্ধ হয়েছে উৎপাদন, বিশ্ব জুড়ে চরমে এবার 'কন্ডোম' সংকট

  • করোনা সংক্রমণ আটকাতে গৃহবন্দি মানুষ
  • ঘরবন্দি হয়ে রয়েছে বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ
  • দিনে দিনে ক্রমেই বাড়ছে কন্ডোমের চাহিদা
  • কিন্তু লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে উৎপাদন

Asianet News Bangla | Published : Mar 28, 2020 11:54 AM IST / Updated: Mar 28 2020, 05:28 PM IST

বিশ্বের করোনা আক্রান্ত বেশিরভাগ দেশেই এখন চলছে লকডাউন। বন্ধ অফিস, কাছারিস কল-কারখানা। সরকারি নির্দেশে বাড়ির ভেতরেই কাটাতে হচ্ছে মানুষকে। তাই গৃহবন্দি মানুষের হাতে এখন অঢেল সময়। আর এই সময়ে নিজেদের মধ্যে প্রেমকে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় মগ্ন হাজার হাজার যুগল। আর এই লকডাউনের জেরে বিশ্বের নানা প্রান্তে বিপুল পরিমাণ কন্ডোমের চাহিদা তৈরি হয়েছে। পাড়ার ওষুধের দোকান হোক বা অনলাইন স্টোর, সবখানেই চিত্রটা একই রকম। কিন্তু তুমুল চাহিদা থাকলেও মিলছে না কন্ডোম। কারণ লকডাউনের জেরে বন্ধ করতে হয়েছে এর উৎপাদন।

বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন। লকডাউনের ফলে বন্ধ কল-কারখানাগুলিও। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কন্ডোম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটিও এর গেড়োতে পড়ে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। বিশ্বের পাচটি কন্ডোমের একটি উৎপাদন করে থাকে মালয়েশিয়ার সংস্থা ক্যারেক্স। তবে লকডাউের ফলে দেশে তাদের তিনটি কারখানারই উৎপাদন সাত দিনেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল দেশটিতে লকডাউন চলবে বলে জানিয়ে রেখেছে মালয়েশিয়া সরকার। তাই  উৎপাদন সম্পূর্ণ রূপে শুরু হওয়ার এখনও কোনও সম্ভাবনা নেই।

স্বস্তির খবর দিল আইআইটি, করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে কারা জানতে এবার তৈরি হল অ্যাপ

পথে নামল করোনা, সচেতনতা বাড়াতে নিজেই ভাইরাস সাজলেন পুলিশকর্তা, নিমেশে হলেন ভাইরাল

চিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৫৪, বিদেশিদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত জিংপিং প্রশাসন

করোনাভাইরাসের কারণে এই লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যে ১ কোটি কন্ডোমের ঘাটতি দেখা দিয়েছে গোটা বিশ্বে। ক্যারেক্সের উৎপাদিত কন্ডোম আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয় ডিউরেক্স। ব্রিটিশ যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবা এবং রাষ্ট্রসংধের জনসংখ্যা তহবিল সহ আরও অনেক জায়গায় কন্ডোম সরবরাহ করে এই সংস্থা। 

ক্যারেক্সের সিইও গোহ মিয়া কিয়াত দাবি করেন, 'এই কন্ডোম সংকট পরবর্তী কয়েক মাস ধরে চলবে এবং এর প্রতিফল দেখা যাবে গোটা বিশ্বে। এরফলে আফ্রিকার অসংখ্য মানবিক প্রকল্প এর ফলে বিপদের মুখে পড়বে, যা ভীতিকর একটি বিষয়।'

 

 

আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে এই সংকট মিটবে না, বরং কয়েক মাস ধরেই এটা তলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় আগামী শুক্রবার থেকে মালয়েশিয়ায় কন্ডোম কারখানাগুলি পুনরায় চালু করার ব্যাপারে সরকারের থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়েছে ক্যারেক্স। যদিও কারখানা চালু হলেও সরকারি নিয়ম মেনে তাতে ৫০ শতাংশের বেশি কর্মী কাজ করতে পারবেন না। 

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঘটনায় মালয়েশিয়া প্রথম সারিতেই রয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২,১৬১। মারা গিয়েছেন ২৬ জন। এই অবস্থায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা দেশকে লকডাউন করে রাখছে মালয়েশিয়া সরকার। 

মালয়েশিয়া ছাড়াও বিশ্বে সর্বোচ্চ কন্ডোম উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে রয়েছে চিনও। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে প্রায় ৩ মাস সেখানকার অধিকাংশ কন্ডোম কারখানা বন্ধ ছিল। ভারত এবং থাইল্যান্ডেও প্রচুর কন্ডোম উৎপাদন হয়। কিন্তু ভারতেও  আগামী ১৪ এপ্রিল লকডাউনের কারণে বন্ধ থাকছে সমস্ত কলকারখানা। আর থাইল্যান্ডেও দিনে দিনে বাড়ছে সংক্রমমের ঘটনা। ফলে সেই দেশেও যেকোন সময়ে ঘোষণা হতে পারে লকডাউনের। 

Share this article
click me!