নতুন সমীক্ষায় উঠে এসেছে সম্পূর্ণ অন্য তথ্য। আর সেই সমীক্ষা বলছেন ইউরোপ থেকে আসা পর্যটকদের মাধ্যমেই করোনাভাইস ছড়িয়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র নিউইয়র্কে। এতদিন ধরে বলা হচ্ছিল এশিয়া থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে নিউ ইয়র্কে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রসম্যান স্কুল অব মেডিসিনের সমীক্ষা বলছেন মূলত ইউরোপ থেকে আসা পর্যটকরাই নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য দায়ী।
গত পাঁচ সপ্তাহ ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। যার মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ ইয়র্ক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নিউ জার্সি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে চার লক্ষেরও বেশি। এখনও পর্যন্ত ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিউ ইয়র্কেই আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষের বেশি। সাত হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ইউরোপের দেশ গুলিতেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সব থেকে বেশি। মৃত্যুর হার সব থেকে বেশি ইতালিতে। এই অস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মৃত্যুর হিসেবে স্পেনকে পিছনে ফেলে রীতিমত নিশ্বাস ফেলছে ইতালির ঘাড়ে। সংক্রমণ রুখতে লাকডাউনের পথে হেঁটেছে মার্কিন প্রশাসন। এই অবস্থায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বার হতে নিষেধ করা হয়েছে নাগরিকদের। বাড়িতে থাকারই পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত জানুয়ারি থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চিন থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে গোটা বিশ্বে। এই অবস্থায় গত ৩১ জানুরায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিন দেশে থাকা মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফিরতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তার আগে ইউরোপ থেকে আসা পর্যটকদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল নিউ ইয়র্কের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। এখনও আরও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।
আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণে জর্জরিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে কর্মহীন মানুষের সংখআরও পড়ুনঃ লকডাউনে ছেলেকে ঘরে ফেরাতে মরিয়া মা, সব উপেক্ষা করে ৩ দিনে অতিক্রম ১৪শ কিলোমিটার.আরও পড়ুনঃলাগাতার নমুনা পরীক্ষাতেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, চিন্তা বাড়াচ্ছে আইসিএমআর এর গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্...গত পয়লা মার্চ নিউ ইয়র্কে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। তার এক মাসেরও বেশি আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প চিন সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। ইউরোপ সফরে কোনও নিষাধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। কিন্তু গত ১১ই মার্চ থেকে মার্কিন প্রশাসন ইউরোপ সফরে কিছুটা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মার্কিন প্রশাসন কিছুটা হলেই ধীর গতিতে চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।