মডার্নার চিফ মেডিক্যাল অফিসার পল বার্টন জানিয়েছেন, "বর্তমান টিকাগুলি নতুন প্রজাতির এই করোনাভাইরাস মোকাবিলা না করতে পারলে তার উপায় বের করবে মডার্না। যদি পরিস্থিতি জটিল হয় তবে আগামী বছরের শুরুতেই নতুন ধরণের টিকা নিয়ে আসা হবে।"
করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে আতঙ্ক তৈরি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে (World)। এই প্রজাতি ডেল্টার থেকেও আরও দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া এই প্রজাতির বিরুদ্ধে করোনার বর্তমান টিকাগুলি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে না বলে মনে করা হচ্ছে। যা চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতেই ভালো খবর দিল মডার্না (Moderna)। ২০২২ সালের মধ্যেই করোনার (Corona) এই নয়া প্রজাতির (New Variant) জন্য টিকা (Vaccine) তৈরি করে ফেলার কথা ঘোষণা করেছে মার্কিন এই সংস্থা।
মডার্নার চিফ মেডিক্যাল অফিসার পল বার্টন (Paul Burton) জানিয়েছেন, "বর্তমান টিকাগুলি নতুন প্রজাতির এই করোনাভাইরাস মোকাবিলা না করতে পারলে তার উপায় বের করবে মডার্না (Moderna)। যদি পরিস্থিতি জটিল হয় তবে আগামী বছরের শুরুতেই নতুন ধরণের টিকা নিয়ে আসা হবে।" অবশ্য তার আগে বর্তমান টিকাগুলি এই প্রজাতির উপর ঠিক কতটা কার্যকরী তা আগে জানতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ওমিক্রন নিয়ে আশঙ্ক করা চিকিৎসকের উল্টো সুর, জানালেন রোগের লক্ষণগুলি
পল বার্টন আরও বলেছেন, "করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে মর্ডানা। অর্থাৎ নয়া প্রজাতির জন্য নতুন টিকা প্রয়োজন হলে, তা ২০২২ সালের মধ্যেই তৈরি করে ফেলতে সক্ষম হবে এই সংস্থা। এই নতুন প্রজাতিটি ভয়ানক। তবে আমাদের কাছেও অনেক অস্ত্র রয়েছে।"
আরও পড়ুন- ওমিক্রন রুখতে কতটা কার্যকরী টিকা, সতর্ক করলেন AIIMS প্রধান
করোনার এই নয়া রূপভেদটি হল বি.১.১.৫২৯ ভেরিয়েন্ট (B.1.1.529 Variant) বা বতসোয়ানা ভেরিয়েন্ট (Botswana variant)। বতসোয়ানাতেই (Botswana) প্রথমে এই ভেরিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল বলে এই নাম দেওয়া হয়েছে। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা এবং হংকং-এও (Hong Kong) এই প্রজাতির দেখা মিলেছে। ফলে এনআইসিডির কাছে করোনার এই প্রজাতি সম্পর্কে বিশেষ কোনও তথ্য একেবারেই নেই। ফলে এই প্রজাতি সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে তার উপর কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইরোলজিস্ট তুলিও দে অলিভিয়েরা সাংবাদিক বৈঠকে করোনার এই প্রজাতি সম্পর্কে বলেন, ‘এই প্রজাতি খুব উচ্চ মিউটেশন ক্ষমতা সম্পন্ন। তাই বিষয়টি সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি মাসের গোড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের গড় সংখ্যা ছিল ১০৬। সেখান থেকে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১২০০-এ। তার মধ্যে নতুন প্রজাতির দ্বারা আক্রান্ত ২২ জন।
আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনার এই নতুন প্রজাতি। বিজ্ঞানীদের মতে, ওমিক্রন অনেক বেশি জটিল এবং এটি ডেল্টা ও বিটা প্রজাতির থেকে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। অবশ্য শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে এই বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞদের তরফে জানানো হয়েছে।