ল্যাবে তৈরি হয়েছে আরও মারাত্মক ও ক্ষতিকর কোভিড স্ট্রেন, বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবিতে চাঞ্চল্য

গবেষণাটি করেন ফ্লোরিডা এবং বস্টনের বিজ্ঞানীদের একটি দল।  দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। জানা গিয়েছে বিজ্ঞানীরা ওমিক্রন থেকে স্পাইক প্রোটিন বের করে এবং চিনের উহানে শুরু হওয়া মহামারীর শুরুতে প্রথম সনাক্ত করা স্ট্রেনের সাথে এটি যুক্ত করে।

Web Desk - ANB | Published : Oct 18, 2022 6:03 AM IST

ফের কি কোভিড হানা হবে বিশ্বজুড়ে। বস্টন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের দাবিতে অন্তত তেমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁরা বলেছেন যে তারা একটি নতুন কোভিড স্ট্রেন তৈরি করেছেন যার ৮০% মৃত্যুর হার রয়েছে। উল্লেখ্য,  একই ধরণের পরীক্ষার একাধিক দফার পরেই প্রথম চিন থেকে বিশ্বব্যাপী মহামারী শুরু করেছিল করোনা। ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানাচ্ছেন ওমিক্রন এবং উহানের আসল ভাইরাসের সংমিশ্রণে এই রূপটিতে সংক্রামিত ইঁদুরের ৮০% মারা গেছে। অথচ যখন এই প্রজাতির ইঁদুরগুলি শুধুমাত্র ওমিক্রনের সংস্পর্শে এসেছিল, তাদের শরীরে হালকা লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। 

এই গবেষণাটি করেন ফ্লোরিডা এবং বস্টনের বিজ্ঞানীদের একটি দল।  দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। জানা গিয়েছে বিজ্ঞানীরা ওমিক্রন থেকে স্পাইক প্রোটিন বের করে এবং চিনের উহানে শুরু হওয়া মহামারীর শুরুতে প্রথম সনাক্ত করা স্ট্রেনের সাথে এটি যুক্ত করে। তারপরে তারা রিপোর্ট তৈরি করেন এই স্ট্রেনের বিপরীতে ইঁদুরগুলি হাইব্রিড স্ট্রেনে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।

বিজ্ঞানীদের দাবি নতুন স্ট্রেনে ওমিক্রন স্ট্রেনের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি সংক্রামক ভাইরাস কণা রয়েছে। ফক্স নিউজে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে COVID-19 প্রথম উহানের একটি ওয়েট মার্কেট থেকে এসেছে বলে শনাক্ত করা হয়েছিল, যদিও অনেকেই বিশ্বাস করেন যে ভাইরাসটি উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে তৈরি করা হয়েছিল। 

Omicron স্ট্রেনটি অত্যন্ত সংক্রমাক। বিজ্ঞানীরা বলছেন যারা সম্পূর্ণরূপে টিকা পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও ছড়াতে পারে এই স্ট্রেন। স্পাইক প্রোটিন সংক্রমণের হারের জন্য দায়ী। তাই গবেষকদের মতে, ভাইরাসের কাঠামোর অন্যান্য পরিবর্তনগুলি এর শক্তি নির্ধারণ করে। 

এদিকে, ওমিক্রন প্রজাতির করোনা ভাইরাসের দুই নতুন রূপ BA.5.1.7 এবং BF.7 নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই দুই রূপ চিন দেশে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে বলে খবর। চিনের কিছু জায়গায় এই দুই ভ্যারিয়েন্টের কারণে লকডাউনও ঘোষণা হয়ে গেছে। এই দুটির মধ্যে BF.7 ভ্যারিয়েন্টটি ঢুকে পড়েছে ভারতেও। বর্তমানে এটি বড় আকার ধারণ না করলেও কালীপুজো, দীপাবলি, গোবর্ধন পুজো এবং ভাইফোঁটার সময়ে মানুষের ব্যাপক মেলামেশা, অসতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার কারণে এটি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে গোটা দেশজুড়ে। 

বিজ্ঞানীরা বলছে, এই নতুন ওমিক্রন আগের প্রত্যেকটি প্রজাতির চেয়ে অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত অভিযোজন করে চলেছে করোনা ভাইরাস। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্সের ইত্যাদি দেশেও সংক্রমণের হার বেশ গতিশীল। ভারতের মধ্যে গুজরাতেও এক জনের দেহে এই প্রজাতিটির সন্ধান পাওয়া গেছে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহজেই এড়িয়ে গিয়ে উপস্থিত অ্যান্টিবডিকে টেক্কা দিতে প্রচণ্ড দক্ষ ‘ওমিক্রন স্পন’। এখনও ব্যাপক হারে ছড়িয়ে না পড়লেও যেহেতু দেশের অভ্যন্তরে ইতিমধ্যেই এর অস্ত্বিত্ব পৌঁছে গিয়েছে, তাই অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

আরও পড়ুন-
যৌন শোষণ করেই কি ইউক্রেনকে দুর্বল করে দিতে চাইছে রাশিয়া? হাতিয়ার নয়, প্রকাশ হয়ে পড়ল ‘ভায়াগ্রা’ তথ্য
‘সৌরভের প্রতি এতই যখন আস্থা ও ভালোবাসা, তখন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর শাহরুখ কেন’, মমতাকে কটাক্ষ শমিকের
নিশুতি রাতে দুলে উঠছে রাজবাড়ির দোলনা, কালীপুজোর অন্ধকারে বল্লভপুরে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের এ কেমন রূপকথা!

Share this article
click me!