চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি মূলত কোভিড আক্রান্ত শিশুদেরই চিকিৎসা করছেন। তিনি দেখেছেন মূল ১১-১৭ বছর বয়সী শিশুরাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের সকলেরই প্রবল জ্বর আর সেই সঙ্গে কাঁপুনি লক্ষ্য করা গেছে। তিনি আরও বলেছেন ২ বছরের কমবয়সী শিশুদের মধ্যেও কোভিড ১৯ সংক্রমণ দেখা গেছে। আক্রান্তদের সকলেরই প্রবল জ্বর থাকছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রথম ও দ্বিতীয় কোভিড-১৯ (Covid-19) তরঙ্গের সময় তেমনভাবে দেশের শিশুরা করোনাভাইরাসে (Coronavrius) আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু এবার অনেকটাই চরিত্র বদল করেছে কোভিড -১৯। দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক পালমোনোলজিস্ট চিকিৎসক ধীরেন গুপ্তা জানিয়েছেন শিশুদের মধ্যে যে কোভিড লক্ষণগুলি (Child's Covid Symptoms) দেখা যাচ্ছে সেগুলি হল প্রবল জ্বর আর সঙ্গে কাঁপুনি। ১১-১৭ বছর বয়সের শিশুরাই মূলত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থার এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি মূলত কোভিড আক্রান্ত শিশুদেরই চিকিৎসা করছেন। তিনি দেখেছেন মূল ১১-১৭ বছর বয়সী শিশুরাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের সকলেরই প্রবল জ্বর আর সেই সঙ্গে কাঁপুনি লক্ষ্য করা গেছে। তিনি আরও বলেছেন ২ বছরের কমবয়সী শিশুদের মধ্যেও কোভিড ১৯ সংক্রমণ দেখা গেছে। আক্রান্তদের সকলেরই প্রবল জ্বর থাকছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন তিনি মোট ৯টি শিশুর চিকিৎসা করেছেন। যার মধ্যে একজনেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে বেশিরভাগ শিশুরই প্রবল জ্বর থাকায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণের তীব্রতা ডেল্টার তুলনায় অনেকটাই কম। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে এখনও এতটা নিশ্চিত হওয়ার সময় আসেনি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন দু বছরের কম বয়সী শিশুরা একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপের অন্তর্গত। তাদের মধ্যে সংক্রমণের তীব্রতা প্রায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেরও মতো। যখন ১১-১৮ বছর বয়সের কিশোর -কিশোরীরা আক্রান্ত হচ্ছে তখন তাদের মধ্যে যে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তা ডেল্টার মত গুরুতর নয়।
কোভিড ১৯এর রূপ ওমিক্রন সম্পর্কেও সচেতন করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি বলেছেন এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসটি রোগীর শ্বাসযন্ত্রকে তেমনভাবে প্রভাবিত করে না। এর লক্ষণ হল ঠান্ডা, মাথাব্যাথা, নাক জ্বালা করা। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে আর সঙ্গে সর্দি সর্দিভাব থাকে।
দ্বিতীয় তরঙ্গের করোনা আক্রান্তদের তুলনা করতে গিয়ে চিকিৎসক ধীরেন গুপ্তা বলেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্বিতীয় তরঙ্গের বিপরীত। ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর স্বাদ ও গন্ধের ক্ষতি হয় না। তিনি আরও বলেছেন ১০ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জন আক্রান্ত স্বাদ ও গন্ধ পাচ্ছেন না। বাকিদের এজাতীয় কোনও সমস্যা নেই। তিনি বলছেন এটাই প্রমাণ করে যে ডেল্টা ও ওমিক্রনের ক্লিনিক্যাল বৈশিষ্ঠ্যগুলি ওভারল্যাপিং করছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুদের সাবধানে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
PM Modi's Picture: পাঁচ ভোটমুখী রাজ্যের আলাদা কোভিড টিকার সংশাপত্র, থাকবে না মোদীর ছবি
Sex Racket: 'দম্পতি ভাগাভাগি'র অভিযোগ গৃহবধূর, তদন্তে নেমে বড় যৌন চক্রের সন্ধান পুলিশের