নেচার জেনেটিক্স জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তাঁরা বলেছেন, দেখে গেছে কোভিড-১৯এর মারাত্মক আক্রান্ত থেকে শুরু করে হালকা অসুস্থতায় ভোগা ব্যক্তিদের মধ্যে এই জিন যথেষ্ট কার্যকর। আগের সমীক্ষাগুলি প্রধানত ইউরোপীয় বংশের লোকেদের উপর করা হয়েছিল। তবে নতুন গবেষণার পরিধি আরও বাড়ান হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা একটি নির্দিষ্ট জিনের (Gene) রূপ শনাক্ত করেছেন। যা গুরুতর কোভিড-১৯ (Covid-19) সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। সুইডেনের করোলিনস্কা ইনস্টিউটের গবেষকদের নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক দল বিভিন্ন বংশের লোকদের মধ্যে একটি সমীক্ষা করে ও পরীক্ষা নীরিক্ষা করে এই নতুন জিনটির সন্ধান পেয়েছে। জিনটি থেকে করোনাভাইরাসের (Corobnavirus) ওষুধ তৈরি করা যেতে পারে বলেও মনে করছেন গবেষকরা।
নেচার জেনেটিক্স জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তাঁরা বলেছেন, দেখে গেছে কোভিড-১৯এর মারাত্মক আক্রান্ত থেকে শুরু করে হালকা অসুস্থতায় ভোগা ব্যক্তিদের মধ্যে এই জিন যথেষ্ট কার্যকর। আগের সমীক্ষাগুলি প্রধানত ইউরোপীয় বংশের লোকেদের উপর করা হয়েছিল। তবে নতুন গবেষণার পরিধি আরও বাড়ান হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাতেই দেখা গেছে একটি নির্দিশ জিনের সন্ধান পাওয়া গেছে। ডিএনএ পরিক্ষা করে সেই জিনটি যাদের শরীরে রয়েছে তাদের কোভিড সংক্রমণের ঝুঁরি প্রায় ২০ শতাংশ কম। ডিএনএ সেগমেন্টটিতে দেখা গেছে জিনটি ইমিউন সিস্টেমে এনকোড করে ও আফ্রির বাইরে প্রায় অর্ধেক মানুষের মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রের এই জাতীয় জিন থাকে।
বিশেষজ্ঞজের কথায় ডিএনএ-র এই অঞ্চলটি অসংখ্য জেনেটিক বিকল্পিক দ্বারা পরিপূর্ণ। যা সঠিক প্রতিরক্ষামূলক ও বৈকল্পিকটিকে আলাদ করে চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। এই নির্দিষ্ট জিন বৈকল্পিক শনাক্ত করতে তারা এই ডিএনএ যাদের মধ্যে থাকার কথা তাদেরই সন্ধান করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা।
নির্দিষ্ট সেই জিনটি সন্ধান করতে বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র সেই ডিএনএ বিভাগের মানুষদেরই চিহ্নিত করেছিলেন তারা এই জিনটি বহন করতে পারেন। সেই কারণেই নিয়ান্ডারথালদের উত্তরাধিকারিদের ওপরই বেশি নজর দেওয়া হয়েছিল। এই ডিএনএ অঞ্চলের একটি ছোট অংশ আফ্রিকান ও ইউরোপীয় উভয় বংশের মানুষের মধ্যেই একই রকম রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা দেখেন প্রধানত আফ্রিকান বংশের ব্যক্তি যারা ইউরোপীয় বংশধর তাদের মধ্যেই এজাতীয় সুরক্ষা বেশিমাত্রায় ছিল। যা তাদের অগ্রহের একটি একটি নির্দিষ্ট জিন বৈকল্পিককে চিহ্নিত করে দেয়।
আফ্রিকান বংশোদ্ভূতদের এই সুরক্ষা ছিল তা ডিএনএ পরীক্ষাই স্পষ্ট করে দেয়। জানিয়েছেন গবেষণার লেখক ডেনিফার হাফম্যান। তিনি মূলত মার্কিন গবেষক। বিশ্লেষণে বলা হয়েছে আফ্রিকান বংশের মোট ২৭৮৭ জন হাতপাতালে ভর্তি হয়েছে। যাঁরা কোভিড আক্রান্ত হয়েছিল। তারা আফ্রিকান বংশধরদের ৮০ শতাঁশ ব্যক্তি প্রতিরক্ষামূলক বৈকল্পিক বহন করে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। গবেষকজের মতে প্রতিরক্ষামূলত জিনটির নাম OAS1। এর মধ্যে প্রোটিনের দীর্ঘ একটি রূপ রয়েছে। যে কোভিডের ভাইরাসকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। এই জিন থেকে আগামিকাল কোভিডএর ওষুধ তৈরি করা যেতে পারে বলেও দাবি করেছেন গবেষকরা।
COVID-19 End: ওমিক্রনেই কোভিড -১৯ মহামারি শেষ হয়ে যাবে, বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের
COVID Losses Ability: সংক্রমিত করা শক্তি ৯০ শতাংশ হারিয়েছে করোনাভাইরাস, প্রথম ৫ মিনিট ক্ষতিকারক