এবার দেশে সন্ধান মিলল সবুজ ছত্রাকের (Green fungus)। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে এক ৩৪ বছর বয়েসী করোনী জয়ীর শরীরে এবার মিলল সবুজ ছত্রাকের সন্ধান। হতভম্ব চিকিৎসকরা। ওই ব্যক্তিকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের মাধ্যমে মুম্বইয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বুধবার থেকে কলকাতায় চালু হচ্ছে বাস পরিষেবা, বাসকর্মীদের হাজিরার নির্দেশ
শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (SAIMS)-এর চেস্ট ডিজিজেস বিভাগের প্রধান রবি দোশী জানান, ওই করোনা জয়ী ফের অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের অনুমান তিনি কোনও কালো ছত্রাকে (mucormycosis) সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। তবে তাঁর শরীরে কালো ছত্রাক মেলেনি, তার বদলে তৈরি হয়েছে সবুজ ছত্রাক। তবে তাঁর শরীরে কালো ছত্রাক মেলেনি, তার বদলে তৈরি হয়েছে সবুজ ছত্রাক। চিকিৎসার পরিভাষায় যার নাম Aspergillosis। এই ছত্রাক মূলত সংক্রমিত হচ্ছে সাইনাস, ফুসফুস ও রক্তে।
এই ছত্রাকের চরিত্র ও সংক্রমণ করার ধরণ নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেই কেন এই ধরণের ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটছে, তা নিয়েও গবেষণা চলছে। সোমবার মুম্বইতে সবুজ ছত্রাকে সংক্রমিত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর চিকিৎসা চলছে। ওই ব্যক্তির দুমাস আগে করোনা সংক্রমণ হয়। সেই কারণে হাসপাতালে দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন তিনি। ফুসফুসে ১০০ শতাংশ করোনা সংক্রমণ ছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাঁকে আইসিউতে ভর্তি করা হয়েছিল।
সুন্দর সকালের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে পুরুলিয়া, করোনা ছুঁতে পারেনি ৮০টি গ্রামকে
পরে সেই ব্যক্তি সেরে ওঠেন। কিন্তু এরপরেই নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয় এবং সঙ্গে অত্যধিক তাপমাত্রা ছিল শরীরে। অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি, কমতে থাকে ওজন। এরপরেই বিশেষ চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর। ধরা পড়ে তাঁর শরীরে সবুজ ছত্রাকের উপস্থিতি।
এদিকে, ক্রমে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণ। গত তিন সপ্তাহের ১৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে এই সংক্রমণের সংখ্যা, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এই রোগে মৃত্যুর হার কিন্তু, করোনার থেকে অনেক বেশি, ৫০ শতাংশ!
Weather Update : আগামী তিনদিন ধরে বৃষ্টি চলবে জেলায়, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোট ৩১,২১৬ টি কালো ছত্রাক সংক্রমণের ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ২,১০৯ জনের। সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার মূল কারণ হিসাবে উঠে আসছে ওষুধের ঘাটতির কথা। এই রোগের প্রধান ওষুধ অ্যামফোটেরিসিন-বি। হঠাৎ করে দেশে এই ওষুধের মারাত্মক চাহিদা তৈরি হওয়ায়, ঘাটতি দেখা দিয়েছে।