সম্প্রতি করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে মানব দেহে চুম্বকত্ব তৈরির রটনার পরেই আরও এক গুজবের মুখোমুখি হতে হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকাকে। কোভিড প্রতিশেধক বান্ধ্যত্ব ডেকে আনবে। টিকাকরণে মহিলাদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা ও পুরুষদের প্রজননের শক্তি হারাবে-এজাতীয় গুজব মুর্শিদাবাদে রীতিমত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মৌলবীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথাও চিন্তভাবনা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
প্রাকৃতির তাণ্ডবে তলিয়ে যাচ্ছে শিবমূর্তি , হৃষিকেশ-ত্রিবেনীতে নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে ...
সপ্তম যোগ দিবস, কাল সকালেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী .
করোনাভাইরাসের টিকা নিলে মহিলারা সন্তান ধারণ করতে পারবেন না। আর পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে যাবে-এই গুজবে কার্যত রাতের ঘুম ছুটেছে প্রশাসনের আধিকারিকদেরও। সীমান্তবর্তী এই জেলার একাধিক জায়গায় টিকাকরণের প্রতি রীতিমতো অনীহা তৈরি হয়েছে। সেই অনীহা কাটাতে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে শুরু করে স্থানীয় মৌলবী মৌলানারা ও ব্লক অঞ্চল লেভেলের প্রশাসনিক আধিকারিকরা মিলে একটি বিশেষ ব়্যাপিড অ্যাকশন টিম তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেই বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার, আমডহরা, হাজিগঞ্জ, রানিতলা, কাটাকোপরা সহ বিভিন্ন এলাকায় একাংশের মানুষের মনে টিকা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মাত্র ৫ মিনিটিরে ব্যবধানে কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিন, দুরকম করোনা টিকা নিয়ে কী হল মহিলার ...
পাশাপাশি টিকাকরণের প্রজনন শক্তি হারানোর আশঙ্কা ধরা পড়েছে পারভীন বেগম, ঋতু বিবি, মোজাম্মেল শেখ, হাসানুজ্জামান আলি প্রমুখদের গলায়। তাঁরা বলছেন," আমরা শুনেছি এই টিকাকরণ এর ফলে মেয়েরা যেমন তাদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারাবে, পাশাপাশি পুরুষদের প্রজনন শক্তিও চলে যাবে। তাই টিকা নিতে ভয় লাগছে আমাদের"। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান, সদস্য ও মৌলবিদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা বিধি মেনে চলার আবেদনের পাশাপাশি কোনওপ্রকার গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ ও সেই নিয়ে প্রচারকার্য চালানো প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ নিলে মহিলারা সন্তানধারণ ক্ষমতা এবং পুরুষেরা জনন শক্তি হারাবেন বলেই গ্রামের মানুষদের দাবি। এই গুজব ছড়ানোর পর থেকেই ওই গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ ও মহিলা ভ্যাকসিন নিতে রাজি হচ্ছেন না। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক উৎপল মজুমদার জানান, গুজব রটনার পরে থেকেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আশা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝিয়েও ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রাজি করাতে পারছেন না। সেই কারণে মৌলবি ও পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের নিয়ে একটি মিটিং করে বিভিন্ন এলাকায় সেইসঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝাতে ব়্য়াপিড অ্যাকশন টিমের ভাবনা"।