৯৮ দিন ধরে চলবে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ। এসবিআই ইকোব়্যাপের করা একটি স্বাস্থ্য রিপোর্ট তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই তরঙ্গে বেশিরাভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা, যেমনটা দেখা গিয়েছিল দ্বিতীয় তরঙ্গের ক্ষেত্রে। তবে শিশু চিকিৎসকরা মনে করছেন আশঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, তবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। প্রথম তরঙ্গে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার খবর সেভাবে মেলেনি। যা দ্বিতীয় তরঙ্গ থেকে শুরু হয়েছে।
রিপোর্ট বলছে দ্বিতীয় তরঙ্গের মতই ভয়াবহ হবে তৃতীয় তরঙ্গ, তার চেয়ে অতিরিক্ত কিছু নয়। তবে মানুষকে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রশাসনকেও প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছে এই রিপোর্ট। সাধারণত বিশ্বের কয়েকটি দেশে ৯৮ দিন ধরে জারি করোনার তৃতীয় তরঙ্গের প্রকোপ। দ্বিতীয় তরঙ্গ জারি রয়েছে ১০৮ দিন ধরে। সেই হিসেবেই ভারতের তৃতীয় তরঙ্গের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮ দিন।
শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কড়া নজর রাখা হচ্ছে করোনার ক্রমশ বদলানো চরিত্রের দিকে। শিশুদের শরীরে কী প্রভাব পড়ছে, তা দেখা হচ্ছে। কীভাবে এর মোকাবিলা সম্ভব, তাও গবেষণা চলছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে শিশুরা উপসর্গহীন। তবে হালকা জ্বর বা নিউমোনিয়ার মত লক্ষ্মণ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় করোনা আক্রান্ত হওয়ার ৬ সপ্তাহ পরে জ্বর আসছে, সঙ্গে থাকছে বমি ও গায়ের ব়্যাশের মতো ঘটনা।
এদিকে, গত সোমবার ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় দেড় লাখের নীচে। সেদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,২৭,৫১০ জন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবারও বাড়ল সংখ্যা, ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৮৮ জন। শুধু তাই নয়, কমেছিল মৃত্যুর হার। সোমবার করোনা প্রাণ কেড়েছে ২,৭৯৫ জনের। তবে ২৪ ঘণ্টা পর সেই সংখ্যাও গেল বেড়ে, ৩ হাজার ২০৭ জন।গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে ১.৩২ লক্ষ পজিটিভ।
আমেরিকার পর ভারতই প্রথম যেখানে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ২৫ মিলিয়ান পার করে। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ভারতের বুকে ২,৮৩,০৭,৮৩২। পাশাপাশি মোট মৃত্যুর সংখ্যাটাও নেহাতই কম নয়। অতিমারির শুরু থেকে করোনাভাইরাস মোট প্রাণ কেড়েছে ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ১০২ জনের।