
করোনা ভ্যাকসিনের দুটো ডোজও কি তাহলে যথেষ্ট নয় সংক্রমণ ঠেকাতে? অসমের মহিলা চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার পরে এই প্রশ্নই উঠে আসছে। আশ্চর্য ব্যাপার হল করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েও করোনার ডেল্টা ও আলফা -এই দুটি ভ্যারিয়েন্টে একসঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তবে গবেষকরা বলছেন, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন ওই মহিলা চিকিৎসক।
ডিব্রুগড়ের রিজিওনাল মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের শীর্ষ স্থানীয় গবেষক বি জে বোরকাকোটি জানাচ্ছেন ওই মহিলা চিকিৎসকের শরীরে পরীক্ষা করে করোনার দুটি ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলেছে। একই সঙ্গে কীভাবে একজনের শরীরে দুটি ভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট আক্রমণ করল, গবেষকদের সেটাই ভাবাচ্ছে। তবে দুটি ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিললেও, তা চিকিৎসকের ক্ষেত্রে মারণ হবে না বলেই আশা করছেন গবেষকরা। কারণ করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই ওই মহিলা চিকিৎসকের নেওয়া রয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত ওই মহিলা চিকিৎসকের গলা ব্যথা, শরীরে ব্যথা ও অনিদ্রার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। এরপরেই করোনা পরীক্ষা করান তিনি। তখনই বিষয়টি ধরা পড়ে। তবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। এই ধরণের একই ব্যক্তির শরীরে দুটি ভ্যারিয়েন্টের একসঙ্গে হামলার ঘটনা খুব বেশি পাওয়া যায়নি। এর আগে ব্রিটেন, ব্রাজিল ও পর্তুগাল থেকে এই ধরণের ঘটনা সামনে এসেছিল।
এদিকে, করোনাভাইরাসের এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করা আর দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানোর জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় মঙ্গলবার এই কথা জানিয়েছেন। বিজেপির সাংসদ দিলীপ সাইকিয়া আর রমেশ চন্দর কৌশিকের লিখিত প্রশ্নের জবাবেই এই তথ্য তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে ১১১৩.২১ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। তারপরেও কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড ১৯ জরুরি প্রতিক্রিয়া আর স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর জন্য প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। আর সেই প্যাকেজে ২০২০ সালে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই প্যাকেজের অধীনেই রাজ্য আর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে ৮২৫৭.৮৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।