বৃষ্টিতে একের পর এক বিশ্বকাপের ম্য়াচ বানচাল হচ্ছে। কিন্তু বরুণদেবের উপরও দাদাগিরি করার উপায় বাতলালেন সৌরভ। জানালেন বদলাতে হবে মাঠের কভার। এই কভারগুলি ইংল্যান্ডেই পাওয়া যায়।
বিলেতের মাঠে তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্য়াচ থেকেই দেখা গিয়েছে দাদাগিরি। সেই বিলেতেই চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত চার-চারটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্য়াচও। চারিদিকে এই নিয়ে আইসিসির সমালোচনা শুরু হয়েছে। এবার বৃষ্টির উপরও দাদাগিরি চালালেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
ক্রিকেট বিশ্বে সবাই জানে ক্রিকেট খেলাটা অন্য অনেকের থেকে ভাল বোঝেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে দুর্দান্ত ক্রিকেটার হিসেবে কেরিয়ার শেষ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে সিএবির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন প্রশাসক হিসেবেও কম কিছু যান না। ইডেন গার্ডেন্সে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকটি ম্যাচেই কিন্তু বৃষ্টি হওয়ার পর অতি দ্রুত মাঠ শুকিয়ে খেলা শুরু করা হয়েছে। সেই প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা থেকেই আইসিসি তথা ইংল্যান্ডকে বৃষ্টিভেজা মাঠে খেলা কীভাবে চালু করা যাবে তাই নিয়ে পরামর্শ দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এখানেই খেলেছিলেন দ্বিতীয় টেস্ট, সেদিনও ছিল বৃষ্টি - ট্রেন্টব্রিজে নস্টালজিক দাদা
তাঁর মতে খুব বেশি কিছু করতে হবে না, স্রেফ ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের সময় মাঠ ও পিচ ঢাকার জন্য যে কভারগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি পাল্টে ফেললেই বরুণদেবকে ঘায়েল করা সম্ভব। তিনি জানিয়েছেন ইডেন-সহ ভারতের সব মাঠে অপেক্ষাকৃত হালকা এক ধরণের কভার ব্যবহার করা হয়।
এই কভারগুলো কোথায় পাওয়া যায় জানেন? খোদ ইংল্যান্ডেই। সৌরভ জানিয়েছেন আগে লর্ডসের মাঠে এই কভারগুলি ব্যবহার করা হত। ইংল্যান্ড থেকেই কভারগুলি আনিয়েছিলেন তাঁরা। কাজেই বিশ্বকাপে এই কভারগুলি ব্যবহার করতে চাইলে অনেক কম খরচেই ইংল্যান্ড তার ব্যবস্থা করতে পারবে। তাছাড়া এর জন্য করও লাগবে না।
আরও পড়ুন: সামনেই ভারত-পাক ম্যাচ - অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার উজার করে এল 'মাস্টার টিপস'
এই কভার ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। প্রথমত কভারগুলি খুবই হাল্কা। তাই সরাতে খুব বেশি কসরত করতে হয় না। বেশি লোক লাগে না। দ্রুত মাঠ ঢেকেও ফেলা যায়। এছাড়া অনায়াসে সূর্যরশ্মি এর মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে বলে বৃষ্টি থামার পর রোদ উঠলে দ্রুত মাঠে জমা আদ্রতাও শুকিয়ে যায়।
তবে এইবার ইংল্য়ান্ডে জুন মাসে বেশ অস্বাভাবিক পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে এই কথাও মেনে নিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে এইরকম লাগাতার বৃষ্টি চলতে থাকলে কোনও কভারেই বিশেষ কাজ দেবে না।
আরও পড়ুন: রাহুলকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দাদা, দলে চাইছেন একটি বদল - চার নম্বরের বাজি কে