অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের (Australia vs England) অ্যাসেজ সিরিজ (Ashes Series)। পঞ্চম টেস্টে জো রুটের (Joe Root)দলকে ১৪৬ রানে হারাল প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins)দল। একইসঙ্গে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া।
অ্যাসেজের (Ashes) ইতিহাসে অন্যতম লজ্জাজনক সিরিজ হার ইংল্যান্ডের (England)। অস্ট্রেলিয়ার (Australia)মাটিতে গোটা সিরিজ জুড়ে ব্যাগি গ্রিনদের বিরুদ্ধে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করল ব্রিটিশ লায়ন্সরা। পরপর তিনটি টেস্ট জিতে অ্যাসেজ আগেই নিজেদের দখলে রাখা নিশ্চিৎ করে ফেলেছিল প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins)দল। লক্ষ্য ছিল সিরিজি ৫-০ করে জো রুটের (Joe Root)দলকে হোয়াইট ওয়াশ করা। চতুর্থ টেস্ট কোনওমতে শেষ উইকেটে বাঁচিয়ে ড্র করতে সক্ষম হয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু হোবার্টে পঞ্চম ও দিনরাতের টেস্টে ফের অস্ট্রেলিয়ার সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল ব্রিটিশ অহংকার। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক সিরিজ স্মরণীয় করে রাখলেন প্যাট কামিন্স। ১৪৬ রানে পঞ্চম টেস্ট জিতে ৪-০ ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অ্যাসেজ ২০২১-২২ অ্যাসেজ জিতল অস্ট্রেলিয়া।
প্রসঙ্গত, হোবার্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৩০৩ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। শতরান করেছিলেন ট্রেভিস হেড। ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন ক্যামেরন গ্রিনও। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও মার্ক উড। ২টি করে উইকেট নেন অলি রবিনসন। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৮৮ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ত্রিশ রানের গণ্ডী পার হয় ক্রিস কস ও অধিনায়ক জো রুট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। ৩টি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। একটি করে উইকেট নেন স্কট বোল্যান্ড ও ক্যামেরন গ্রিন। ১১৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলেও খুব একটা ভালো শুরু করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৩৭ রানে ৩ উইকেট।
পঞ্চম টেস্টের ভাগ্য ম্যাচের দ্বিতীয় দিনই অনেকটা স্থির হয়ে গিয়েছিল। তৃতীয় দিনে যে খেলার রেজাল্ট আউট হয়ে যাবে তারও আভাস পাওয়া গিয়েছিল। সেই মতই তৃতীয় দিনে গোলাপী বলে দাপট দেখাল দুই দলের পেসাররাই। দিনে পড়ল মোট ১৭ উইকেট। তৃতীয় দিনে ৩৭ রানে ৩ উইকেট থেকে খেলা শুরু করে ব্যাগি গ্রিনরা। অ্যালেক্স ক্যারের ৪৯ রানের ইনিংস ছাড়া কেউ ত্রিশের গণ্ডী টপকাতে পারেনি। ১৫৫ রানে শেষ হয় অজিদের দ্বিতীয় ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আগুনে বোলিং করে ৬ উইকেট নেন মার্ক উড। ৩টি উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও একটি উইকেট নেন ক্রিস ওকস। লিড নিয়ে ইংল্যান্ডকে মোট ২৭১ রানের টার্গেট দেয় প্যাট কামিন্সের দল।
রান তাড়া করতে একটা সময় পর্যন্ত ভালোই লড়াই করছিলেন ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা। ওপেনিং জুটিতে অর্ধশকরানের পার্টনারশিপও করেন জোসেফ বার্নস ও জ্যাক ক্রাউলি। ৬৮ রানের পার্টনারশিপের পর প্রথম উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের। তারপর সেই দল ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। বার্নসের ২৬ ও ক্রাউলির ৩৬ রানের ইনিংস ছাড়া কেউ ১৫ -র গণ্ডী টপকাতে পারেনি। অসি পেসারদের সম্মলিত আক্রমণেই ধরাশায়ী হয় ইংল্যান্ড। ৩টি করে উইকেট নেন কামিন্স, বোল্যান্ড ও গ্রিন। একটি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ১৪৬ রানে ম্য়াচ জিতে অস্ট্রেলিয়া সঙ্গে ৪-০ ব্যবধানে অ্যাসেজ জিল ব্যাগি গ্রিনরা।