সমস্যা থেকে যেন কিউতেই মুক্তি পাচ্ছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। একই করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে দীর্ঘ দিন ঝরে বন্ধ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। যার ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বোর্ড। তারউপর আইপিএস স্থগিত হয়ে থাকাতেও ক্ষতি হচ্ছিল বিসিসিআইয়ের। অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে চলতি বছরে আইপিএল হওয়ার আশার আলো আরও উজ্জ্বল হয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল হলেই সেই জায়গাতে হবে আইপিএল। আইপিএল না হলে যে ৪ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের ভয় পাচ্ছিল বিসিসিআই, তা থেকে স্বস্তি পাওয়া গেল ভেবেছিল বিসিসিআই। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিদিন স্থায়ী হল না বিসিসিআইয়ের। পুরনো মামলায় হেরে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বিসিসিআইকে।
আরও পড়ুনঃরিয়াল মাদ্রিদের লা লিগা জয়ের নেপথ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ
আইপিএলের উদ্বোধনী মরশুম থেকে হায়দরাবাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে খেলত ডেকান চার্জার্স। ২০০৯ মরশুমে চ্যাম্পিয়নও হয় তারা। কিন্তু ২০১২ সালের পর আর তাদের দেখা যায়নি। চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে সেই বছর সেপ্টেম্বরে এই দলকে চিরতরে নির্বাসিত করে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে এমন অভিযোগ মিথ্যে বলেই দাবি করা হয়েছিল। বিসিসিআইকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বোম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ডেকান। সেই মামলারই রায় গেল ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষে। বেআইনিভাবে টুর্নামেন্ট থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে ডিসিকে। যার ‘ক্ষতিপূরণ’ হিসেবে বিসিসিআইকে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দিতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃকেনও ব্যাট হাতে দর্শক পিটিয়েছিলেন ইনজামাম,২৩ বছর পর রহস্যের উন্মোচন
আরও পড়ুনঃআরব দেশেই হবে আইপিএল ২০২০,তবে রয়েছে একাধিক শর্ত
আদালতের এই নির্দেশের পরেই চিন্তায় পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। মন্দার বাজারে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ বিসিসিআইয়ের কাছে পাহাডা প্রমাণ বোঝা। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও মুখ খোলেনি বিসিসিআই। যেখানে করোনা আবহে আইপিএলের আয়োজন করার জন্য উঠে পড়়ে লেগেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই পরিস্থিতিতে আইপিএলের পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের কারণেই আরও বেকায়দায় পড়ল বিসিসিআই।