
ভারতীয় দলের জার্সি স্পন্সর লার্নিং অ্যাপ বাইজুসের কাছে নাকি বিশাল অঙ্কে টাকা পাওয়া রয়েছে। সেই পরিমাণটা প্রায় ৮৭ কোটি টাকা। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই বেশ শোরগোল পড়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরে। বৃহস্পকিবার বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকের পর এই অভিযোগ সামনে আসে। ২০১৯ সাল থেকে ভারতীয় দলের স্পনসর হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল বাইজুস। তার আগে জার্সি স্পনসর ছিল অপ্পো মোবাইল সংস্থা। প্রায় ৩ বছর পর হঠাৎ এমন অভিযোগ সামনে আসায় একাধিক প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। যদিও টাকা বকেয়া থাকার খবর ঠিক নয় বলে দাবি করা হয়। পাশাপাশি বিসিসিআইয়ের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে বিষয়টি সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর। এতে আখেরে বিসিসিআইয়েরই ক্ষতি হচ্ছে।
এই অভিযোক সামনে আসার পরই আসরে নামে বাইজুস কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফ থেকে জানোন হয়,'বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আমাদের চুক্তি বাড়ানোর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও চুক্তিপত্রে সই করা হয়নি। সমস্ত নিয়ম মেনে সই করার পরেই সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। টাকা বকেয়া রয়েছে, এই কথা এখনই বলার সময় আসেনি।' এছাড়াও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে,'বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর যে ম্যাচগুলি হয়েছে সেই অর্থ এখনও দেওয়া হয়নি তার কারণ নতু ন চুক্তি নিয়েআলোচনা চলছে এবং তা এখনও স্বাক্ষরিত হয়নি। চুক্তি সই হয়ে গেলেই সেই অর্থ দিয়ে দেওয়া হবে।' পাশাপাশিবলা হয়েছে, বাইজুস চুক্তি অনুসারে অতীতের সমস্ত বকেয়া পরিমাণ ক্রিকেট বোর্ডকে পরিশোধ করেছে, এবং ক্রিকেট বোর্ডের কাছে বাইজুসের একটি ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি রয়েছে যা মিডিয়াতে প্রকাশিত অর্থের তুলনায় অনেক বেশি। অর্থ বকেয়া থাকলে বিসিসিআই সেই ব্য়াঙ্ক গ্যারান্টি ক্যাশ করাতেই পারে।
বিসিসিআই কর্মকর্তারাও এই বিষয়টিতে বাইজুসের পাশেই দাঁড়িয়েছে। তারাও মেনে নিয়েছে নতুন চুক্তি এখনও সই না হওয়ার বিষয়টি। আর ৮৬.২১ কোটি টাকা যে এই অন্তবর্তীকালান রয়েছে সেটা বাইরে কীভাবে গেল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিসিসিআই মনে করছে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে যারা ছিলেন তাদে মধ্য থেকেই এই বিষয়টি বাইরে লিক করা হয়েছে। আর এমন খবর বাইরে আসায় তাতে যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরই ক্ষতি হচ্ছে সেই কথাও বলা হয়েছে। এই খবর লিক হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে বোর্ডের তরফে।
আরও পড়ুনঃবিরাট কোহলির প্রতি ইনস্টা পোস্ট থেকে কত রোজগার, জানলে আকাশ থেকে পড়বেন
প্রসঙ্গত, শুধু জার্সি স্পনসর বাইজুস নয়, ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের টাইটেল স্পনসর হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল পেটিএম। তবে নিয়ম অনুযায়ী ফি বছর সেই চুক্তি নবীকরণ করা হয়। তবে এবার এখনও পর্যন্ত সেই চুক্তিও নবীকরণ হয়নি। নতুন টাইটেল স্পনসর হিসেবে মাস্টারকার্ডের নাম উঠে আসলেও, পুরোনো সম্পর্কের কথা ভেবে পেটিএমকে আরও কিছুটা সময় দেওয়ার পক্ষপাতি বিসিসিআই।