বাংলার ক্রিকেট মহলে কান পাতলে শোনা যায়, দলের সব ছিল। কিন্তু আভাব ছিল লড়াই করার মানসিকতার। আর এটাই বাংলা ক্রিকেটে আমদানি করেছিলেন অরুণ লাল। তবে শুধু ২২ গজেই নয়, মাঠের বাইরেও অনেকের কাছেই তিনি লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা। এবার তাঁকেই লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্টের পুরস্কার দিচ্ছে বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
জানা গিয়েছে, সারাজীবনের অবদানের জন্য সিএবির এই পুরস্কার প্রাপকদের দৌড়ে ছিলেন প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক রাজু মুখোপাধ্যায়ও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অরুণ লালের লড়াইকেই সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নেন সিএবি। আগামী শনিবার অর্থাৎ ৩ অগাস্ট অরুণলালের হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হবে।
ছয় মরসুম দিল্লির হয়ে রঞ্জি খেলে বাংলায় এসেছিলেন অরুণ লাল। আর তারপরই ১৯৮৯ সালে বাংলা প্রথম রঞ্জি ট্রফি জিতেছিল। তাতে অরুণ লাল অত্যন্ত বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। দলের মধ্য়ে ইতিবাচক মানসিকতার বিকাশ ঘটিয়েছিলেন। প্রথম শ্রেনীর খেলায় ১৫৬ ম্যাচে ১০ হাজারের বেশি রান রয়েছে তাঁর।
ভারতীয় দলের হয়েও খেলেছিলেন অরুণ লাল। জাতীয় দলের জার্সিতে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে তিনি ১৬টি টেস্ট ও ১৩টি একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন। ইডেন গার্ডেন্সে ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাঁর করা ৯৩ রান অনেকেরই মনে গেঁথে রযেছে। সেটাই ছিবল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অরুণলালের সর্বোচ্চ রান।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসেবেও দারুণ সফল হন তিনি। ধারাভাষ্যকারদের বক্সে অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়েও কখনও প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু, চোয়ালের ক্যানসার ধরা পড়ায় সেই কাজ থেকেও অব্যাহতি নিতে বাধ্য হনষ। তারপর কিন্তু কর্কট রোগকেও লড়ে হারিয়ে দিয়েছেন। গত মরসুমে সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে বাংলার রঞ্জি দলের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।