টেস্টে অনন্য নজির জিমির, প্রথম ফাস্ট বোলার হিসেবে নিলেন ৬০০ উইকেট

  • অবশেষে নজির গড়লেন জিমি অ্যান্ডারসন 
  • ৬০০ উইকেটের ক্লাবে ঢোকা প্রথম ফাস্ট বোলার তিনিই
  • আজহার আলীর উইকেট তুলে মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন তিনি
  • যদিও শেষপর্যন্ত ম্যাচ বাঁচাতে সক্ষম হয় পাকিস্তান
     

Reetabrata Deb | Published : Aug 26, 2020 3:52 AM IST

অবশেষে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু হয়েছে। বৃষ্টির ভ্রুকুটি এড়িয়ে তখন জয়ের স্বপ্ন দেখছে ইংল্যান্ড শিবির। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের ৬২ তম ওভার শুরু করলেন জেমস অ্যান্ডারসন। ওভারের দ্বিতীয় বল পাক অধিনায়ক আজহার আলির ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুটের হাতে জমা পড়তেই ঘটলো যাবতীয় অপেক্ষার অবসান। বিশ্বের প্রথম পেসার হিসাবে টেস্টে ৬০০ টেস্ট উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন অ্যান্ডারসন। নিজের ১৫৬ তম টেস্টে। এর আগে পেসারদের মধ্যে টেস্টে সবচেয়ে বেশি শিকারের রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রার নামে। তার ৫৬৩ উইকেটের রেকর্ড আগেই ভেঙেছিলেন জিমি। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপকদের তালিকেয় এখন চতুর্থ স্থানে জিমি। তাঁর আগে রয়েছেন অনিল কুম্বলে, শেন ওয়ার্ন এবং মুথাইয়া মুরলিধরণ। তবে যে গতিতে এগোচ্ছেন তাতে  কুম্বলেকে তিন নম্বরের আসন কতদিন সুরক্ষিত থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে যায়। 

আরও পড়ুনঃতাঁর সারাই করা ব্যাট দিয়ে শাসন করেছেন ২২ গজ, বিপদে প্রিয় 'আশরাফ চাচার' পাশে দাঁড়ালেন সচিন

 ২০০৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে লর্ডসের মাটিতে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল অ্যান্ডারসনের। তার আগের বছরই ওয়ান ডে ক্রিকেটের দলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। তবে ২০১৫ সালের পর আর ইংল্যান্ডের হয়ে রঙিন জার্সিতে দেখা যায়নি তাঁকে। বলা ভালো বয়স হওয়ায় তিনি নিজেই রঙিন আঙিনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ওডিআই থেকে।একদিনের আন্তর্জাতিকেও ২৬৯ শিকার রয়েছে অ্যান্ডারসনের। সব ফরম্যাট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর মোট শিকার ৮৮৭। রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। তাঁর আগে রয়েছেন ওয়াসিম আক্রম, গ্লেন ম্যাকগ্রা, অনিল কুম্বলে, শেন ওয়ার্ন এবং মুথাইয়া মুরলিধরন। 

আরও পড়ুনঃহোটেলের রুমে রোহিত-রিতিকার একসঙ্গে ওয়ার্ক আউট, মুহূর্তের মধ্যে ভিডিও ভাইরাল

আরও পড়ুনঃমরু শহরে গিয়ে স্ত্রী ও সন্তানকে মিস করছেন হার্দিক, শেয়ার করা ছবি মন ছুঁলো নেট দুনিয়ার

সিরিজের তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষেই পাকিস্তানকে ফলো-অন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রুট। কিন্তু চতুর্থ আর পঞ্চম বৃষ্টির দাপটে ১০০ ওভারেরও বেশি খেলা নষ্ট হওয়ায় টেস্ট বাঁচাতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। যদিও সিরিজ ১-০ ফলে জিতে নিল ইংল্যান্ড। তবে ম্যাচ জিততে না পারায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেন রুটরা।

Share this article
click me!