টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আগেই শুরু করেছে আইসিসি। যার ফলে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আকর্ষণ আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যুগে আকর্ষণ কমেছে ৫০ ওভারের ক্রিকেটেরও। টানা ৮-৯ ঘণ্টার ক্রিকেটের প্রতি উৎসাহ আগের মতন আর নেই। তাই এবার ওয়ান ডে ক্রিকেটের উন্মাদনা বাড়াতে অভিনব পদ্ধতি চালু করছে আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার টেস্টের ধাঁচেই ১৩ দলের ওয়ানডে সুপার লিগ শুরু করা হবে। যার নামও ও সূচি ও ঠিক করেছে ফেলেছে আইসিসি। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগ’।
আরও পড়ুনঃআইএসএল খেলতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল, ক্লাবের তরফে চিঠি গেল এফএসডিএলের কাছে
আগামী সপ্তাহে শুরু হতে চলা ইংল্যান্ড বনাম আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকেই শুরু হয়ে যাবে এই লিগ প্রতিযোগিতা। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, এই ওয়ানডে সুপার লিগের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কারা কারা খেলার সুযোগ পাবে। এই টুর্নামেন্টে মোট ১৩টি দল খেলবে। ৩ বছর ধরে চলা এই লিগে প্রতিটি দল ঘরে বাইরে মিলিয়ে মোট আটটি তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে। সিরিজ জিতলে জয়ী দলকে দেওয়া হবে ১০ পয়েন্ট করে। কোনও কারণে ড্র হলে ৫ পয়েন্ট করে দুই দলের মধ্যে ভাগ হবে। লিগের প্রথম সাতটি দল ও আয়োজক দেশ সরাসরি বিশ্বকাপের যোগ্যতা পাবে। শেষ পাঁচটি দলকে অ্যাসোসিয়েট দেশগুলির বিরুদ্ধে খেলতে হবে শেষ দুটি স্থানের জন্য।
আরও পড়ুনঃফের মানবিক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, দাঁড়ালেন করোনা আক্রান্ত অসহায় পরিবারের পাশে
আরও পড়ুনঃস্ত্রী করোনা মুক্ত, এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত লক্ষ্মীরতন শুক্লার ছেলে
২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ যেহেতু ভারতে হবে, তাই ভারত সরাসরি জায়গা পাবে বিশ্বকাপে। আর ভারত যদি প্রথম সাতের মধ্যে থাকে তাহলে লিগের অষ্টম স্থানাধিকারী দল সরাসরি বিশ্বকাপে যোগ্য তা অর্জন করবে। এই মেগা টুর্নামেন্টের ফলে আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান, জিম্বাবোয়ে, নেদারল্যান্ডের মতো দলগুলি উপকৃত হবে। কারণ, এর ফলে আগামী ৩ বছরে অন্তত ২৪টি করে ওয়ানডে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেল এই দলগুলির। যারফলে ক্রিকেটেরও প্রসার হবে বলেই মনে করছে আইসিসি। একইসঙ্গে এই প্রতিযোগিতার ফলে সব সিরিজই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ হিসেবে বিবেচিত হবে। আইসিসির এই নয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।