হেডিংলি টেস্টে লজ্জার হার ভারতের। ইনিংস ও ৭৬ রানে ম্য়াচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড। ভারতীয় ব্য়াটিং লাইনআপের চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরই চতুর্থ টেস্টে দলে একাধিক পরিবর্তনের দাবি।
লর্ডস টেস্টের দুরন্ত জয় এখন অতীত। লিডসে পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ইনিংস ও৭৬ রানে ম্য়াচ জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ইংল্যান্ড। তৃতীয় টেস্টে চূড়ান্ত ফ্লপ ভারতের তারকা খোচিত ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানে অলআউট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৫-তে ২ থেকে ২৭৮ রানে অল আউট একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পুজারা ও বিরাট কোহলির ইনিংস বাদ দিলেচে গোটা ম্যাচে ভারতকে নিয়ে বলার মত কিছুই নেই।
তৃতীয় টেস্ট হারের পর সমালোচনার বাণে যেইসব ক্রিকেটাররা বিদ্ধ হচ্ছেন তাদের মধ্যে তালিকায় উপরের দিকে রয়েছেন ঋষভ পন্থ। অস্ট্রেলিয়া সফরে অ্যাডিলেড টেস্টের পর প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তার জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। বেশ কিছু ম্য়াচ উইনিং ইনিংস খেললেও, অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উইকেট উপহার দিয়ে আসার সমস্যা পন্থের রয়েই গিয়েছে। ইংল্যান্ড সফরে তারমধ্যে চূড়ান্ত ব্যর্থ তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৪ ও ৪১ রান করেন পন্থ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টেস্টের পাঁচটি ইনিংসে তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ২৫, ৩৭, ২২, ২ ও ১ রান। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋদ্ধিমান সাহাকে দলে ফেরানোর জন্য দাবি তুলেছেন নেটিজেনরা। অনেকেই প্রশ্ন করেন, ঋদ্ধি এক ম্য়াচ বাজে খেললেই তাকে ছেঁটে ফেলা হয়, কিন্তু পন্থকে একের পর এক সুযোগ দেওয়া হয় কেন? তাই চতুর্থ টেস্টে ঋদ্ধিকে দলে ফেরানোর জোরদারর দাবি উঠেছে নেট দুনিয়ায়।
ভারতের হয়ে ৩৮টি টেস্ট ম্যাচে ঋদ্ধিমান সাহা ১২৫১ রান করেছেন। তার ঝুলিতে রয়েছে ৩টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ স্কোর ১১৭। গড় ২৯.০৯। পন্থের মত আক্রমণাত্মক ব্য়াটিং না করলেও, প্রয়োজনের সময় অনেক ম্য়াচে উইকেট বাঁচিয়ে ব্য়াট করেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। তাছাড়াও কিপিংয়ের গুণাবলী বিচার করলে পন্থের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ঋদ্ধিমান। এবার দেখার বিষয় এটাই চতুর্থ টেস্টে পন্থকে বসিয়ে ঋদ্ধিকে সুযোগ দেয় কিনা ভারতীয় টিম ম্য়ানেজমেন্ট।