হাওয় অফিস আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল। আদতে হলও তাই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখ ভার আকাশের। বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গেল প্রথম দিনের খেলা। সাউদ্যাম্পটনে ১৮ থেকে ২৩ তারিখের মাঝে ৪ দিনই ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত সব কিছুর সম্ভাবনাই রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই সাউদ্যাম্পটনের বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবারও সকাল থেকেই দফায় দফায় হয়েছে বৃষ্টি। এই বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রিজার্ভ ডে রেখেছিল আইসিসি। প্রথম দিনের খেলা ভেস্তে যাওয়ায় এটা নিশ্চিৎ যে রিজার্ভ ডে -তে খেলা গড়াবে। কিন্তু কী এই রিজার্ভ ডে, তার নিয়মই বা কি, তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে ক্রীড়া প্রেমিদের মধ্যে। জেনে নিন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রিজার্ভ ডে-র যাবতীয় নিয়ম।
রিজার্ভ ডে-র নিয়ম-
১. পাঁচ দিনের খেলা সম্পূর্ণভাবে সুনিশ্চিত করতেই রিজার্ভ-ডে রাখা হয়েছে। রেগুলার দিনগুলোতে কোনও কারণবশত নষ্ট হওয়া সময় পাঁচদিনের মধ্যে যদি মেক-আপ করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রেই রিজার্ভ-ডে’তে খেলা গড়াবে।
২. প্রতি দিন নির্দিষ্ট ৯০ ওভার বা ৬ ঘণ্টার মধ্যে যে পরিমান খেলা হবে না, সেটা যদি সেই দিন বা পরের দিন করে নেওয়া যায়, তাহলে অতিরিক্ত দিনের প্রশ্ন আসবে না।
৩. . আইসিসি বলছে, ম্যাচ চলাকালীন কোনও একদিন বা দুদিন সামান্য বৃষ্টি হলে যে কয়েকটা ওভার নষ্ট হল, সেগুলি রিজার্ভ ডে’তে খেলিয়ে দেওয়া হবে, এমন নয়। রিজার্ভ ডে একমাত্র ব্যবহার করা যাবে যদি পাঁচদিনে ৯০ ওভার বা ৬ ঘণ্টার বেশি খেলা বৃষ্টির জন্য পণ্ড হয়।
৪. রিজার্ভ ডে’তে সর্বোচ্চ ৮৩ ওভার বা ৩৩০ মিনিট খেলা যাবে। রিজার্ভ ডে নেওয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত ম্যাচ রেফারি নেবেন এক্কেবারে ম্যাচের পঞ্চম দিনের শেষ ১ ঘন্টায়।
৫.যদি প্রাকৃতিক বা অন্য কোনও কারণে নেট প্লেয়িং টাইমের কোটা পূর্ণ করা না যায়, একমাত্র তখনই ম্যাচ রিজার্ভ ডে বা ষষ্ঠ দিনে গড়াবে। নেট প্লেয়িং টাইম হল আইসিসি নির্ধারিত খেলার নূন্যতম সময়। পাঁচদিনে ৬ ঘণ্টা করে মোট ৩০ ঘণ্টা নেট প্লেয়িং টাইম নির্ধারণ করা হয়েছে আইসিসির তরফে।
৬. পাঁচদিনের খেলা শেষে যদি কোনওরকম ইতিবাচক ফলাফল না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে কোনও অতিরিক্ত দিন বরাদ্দ হবে না এবং ম্যাচটি ড্র হিসেবে গণ্য করা হবে। সেক্ষেত্রে রিজার্ভ ডে-তে খেলা গড়াবে না।