ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha) সাক্ষাৎকারের জন্য সাংবাদিকের হুমকি (Journalist Threat Message)। প্রতিবাদে সরব প্রাক্তন ক্রিকেটার (Former Cricketer) থেকে শুরু করে নেটিজেনরা। এবার বিষয়টিতে নড়েচড়ে বসল ভারতী ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (Cricket Control Board Of India)। তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই (BCCI)। এবার বিসিসিআইয়ের কাছে কঠিন সিদ্ধান্তের দাবি জানাল ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (Indian Cricketers Association)।
আসন্ন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। সেই জায়গায় ঋষভ পন্থের ব্যাকআপ হিসেবে দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে কেএস ভরতকে।
ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha) ভারতীয় টেস্ট দল (Indian Test Team) থেকে বাদ পড়া নিয়ে এমনিতেই তোলপার ভারতীয় ক্রিকেট। তারই মধ্যে আরও একটি বিষয় শিরোনামে উঠে এসেছে দল থেকে বাদ পড়ার পর ঋদ্ধিকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য এক সাংবাদিকের 'হুমকি' (Journalist Threat Message) মেসেজ। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও। ঘটনায় তদন্তে নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই (BCCI)। এবার ঋদ্ধিকে সাংবাদিকের হুমকি প্রসঙ্গে আসরে নামল ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (Indian Cricketers Association)। ঋদ্ধিকে অভিযুক্ত সাংবাদিকের নাম জানানোর অনুরোধের পাশাপাশি বিসিসিআইকেও ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে ক্রিকেটারদের সংগঠন।
কী রয়েছে ঋদ্ধির ফাঁস করা চ্যাটে-
ঋদ্ধিমান সাহা যে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে ১০টা ১৮ মিনিটে একটি চ্যাট ঋদ্ধিকে ওই সাংবাদিক লিখেছেন, 'আমার সঙ্গে একটা ইন্টারভিউ কর। (তোমার জন্য) ভালো হবে।' এক মিনিট পরেই আরও একটি মেসেজ এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, 'ওরা (বোর্ড) একজন উইকেটকিপার বেছে নিয়েছে, যে সেরা উইকেটকিপার। তুমি ১১ জন সাংবাদিককে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছ, যাঁরা আমার কাছে সেরা নয়। এমন কাউকে বেছে নাও, যে তোমায় সবথেকে বেশি সাহায্য করতে পারবে।' রাত ১০ টা ৪৩ মিনিটের একটি মেসেজে বলা হয়েছে, 'তুমি ফোন করলে না। আমি কখনও তোমার ইন্টারভিউ নেব না। আমি একেবারে সহজে অপমান মেনে নিই না এবং এটা আমি মনে রাখব। এটা তোমার করা উচিত হয়নি।' তারইমধ্যে ঋদ্ধির পোস্ট করা স্ক্রিনশটে সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে হোয়্যাটসঅ্যাপ কলের বিষয়টি ধরা পড়েছে। যা মিসড কল হয়ে গিয়েছিল। এই চ্য়াটের স্ক্রিন শট শেয়ার করে ঋদ্ধি লেখেন, 'ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আমার যাবতীয় অবদানের পর তথাকথিত শ্রদ্ধেয় সাংবাদিকের থেকে এরকম বিষয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই পর্যায় নেমে গিয়েছে সাংবাদিকতা।'
আইসিএর দাবি-
এই প্রসঙ্গে ক্রিকেটারদের সংগঠনের সভাপতি অশোক মলহোত্র এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন,'ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের উন্নতির পিছনে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু ঋদ্ধির ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা সব সময় ক্রিকেটারদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেছি। ঋদ্ধিকে অনুরোধ করছি, তিনি সেই সাংবাদিকের নাম সবাইকে বলুন। তার পরে বিসিসিআই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।' ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব হীতেশ মজুমদার বলেন,'ঋদ্ধির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এই ধরনের হুমকি কখনওই বরদাস্ত করা হবে না। আমরা সংবাদমাধ্যমকেও ঋদ্ধির সমর্থনে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক।'
যত সময় এগোচ্ছে ঋদ্ধিকে সাংবাদিকের হুমকি ম্য়াসেজের ঘটনায় নিন্দাও প্রবাদের ঝড় উঠছে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ এই ঘটনাকে 'চামচেগিরি বলেছেন। ওই সাংবাদিককে বয়কটের ডাক দিয়েছেন প্রাক্তন স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা। সমালোচনা করেছেন হরভজন সিংও। এবার ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্য়াসোসিয়েশন আসরে নামায় এই ঘটনা নতুন মাত্রা পেল বলেই মনে করা হচ্ছেষ