ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দর মহলে তখন উথাল পাতাল অবস্থা। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের স্বচ্ছতার ওপর তখন একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এই অবস্থায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি মসে দেশের সর্বোচ্চ আদালত চান সদস্যের একটি কমটি গঠন করে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রশাসনিক কাজ চালানোর জন্য। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসকদের হাতে। বিসিসিআই অফিস সংক্রান্ত সব দিকই দেখছেন সিওএ সদস্যরা।
আরও পড়ুন - ডিসেম্বরে আইপিএল নিলাম, ঘর গোছাতে শুরু করেছে ফ্রাঞ্চাইজিরা
কিন্তু এবার তাঁদের দিন শেষ। ২২ অক্টোবর থেকে একদিন পিছিয়ে ২৩ অক্টোবর হবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের নির্বাচন। আর সেদিনই ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দর মহলে তাঁদের শেষ দিন। এমনটাই বলছেন প্রশাসক কমিটির প্রধান বিনোদ রাই। নির্বাচিত হয়ে আসা নতুন কমিটির হাতে ভারতীয় ক্রিকেট দায়িত্ব তুলে দিয়ে তাঁরা অব্যাহতি নিতে চলেছে। ৩৩ মাসের কার্যকালের পর ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্ব আবার বিসিসিআই কর্তাদের হাতে তুলে দিতে চলেছেন বিনোদ রাইরা।
২০১৭ সালে যখন বিনোদ রাইরা বোর্ডের দায়িত্ব নিলেন তখন চার সদস্যের কমিটি গঠন হয়েছিল। কিন্তু সিওএ সদস্যদের মধ্যেও মাঝে মধ্যেই মতানৈক্য হয়েছে। তাই বিনোর রাই ও ডায়না এডুলজি ছাড়া অন্যরা ইস্তফা দিয়ে সরে গেছেন। সুপ্রিম কোর্ট যখন তাঁদের হাতে বোর্ডের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল তখন বিনোদ রাইদের মূল কাজ ছিল লোধা কমিশনের সুপারশিস কার্যকর করা। সুপ্রিম কোর্ট এরপর একাধিক আদেশ নামায় আরও কিছু নির্দেশ দিয়েছে বিনোদ রাইদের। সেই সবকাজও করেছেন। তবে ভারতীয় ক্রিকেটে সব থেকে বড় যে কাজটা করে গেল প্রশাসক কমিটি, সেটা হল নাডার সঙ্গে হাত মিলিয়ে নেওয়া। ভারতীয় ক্রিকেটের একটা বড় অধ্যায় সামলে এবার মুম্বাইয়ের ক্রিকেট সেন্টার থেকে নিজিদের গুটিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু প্রাশসক কমিটির।
আরও পড়ুন - আরও দাপটের সঙ্গে ফিরে আসব, চোট প্রসঙ্গে বললেন বুমরা