ভারত বনাম ইংল্য়ান্ডের (India vs England) তৃতীয় একদিনের ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ২৫৯ রান করে ইংল্য়ান্ড। জবাবে ঋষভ পন্থের ১২৫ ও হার্দিক পান্ডিয়ার ৭১ রানের ইনিংসের সৌজন্য ৫ উইকেটে ম্য়াচ জেতে ভারত।
ঋষভ পন্থের অনবদ্য শতরান। হার্দিক পান্ডিয়া অনবদ্য ইনিংস। চাপের মুহূর্তে ঋষভ-হার্দিকের পার্টনারশিপে ভর করেই একদিনের সিরিজে ইংল্যান্ডকে হারাল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ৫ উইকেট ম্য়াচ জিতে টি২০ সিরিজের পর একদিনের সিরিডও ২-১ ব্যবধানে জিতল টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। ৪৫.৫ ওভারে ২৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রানের অধিনায়োকচিত ইনিংস খেলেন জস বাটলার। এছাড়া জেসন রয় ৪১, মইন আলি ৩৪, ক্রেইগ ওভারটন ৩২, লিয়াম লিভিংস্টোন করেন ২৭ রান। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উউইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া, ৩টি উইকেট নেনে যুজবেন্দ্র চাহল, ২টি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। রান তাড়া করতে নেমে ৪২.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারত। ১২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ঋষভ পন্থ। ৭১ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্য়ান্ডের। ১২ রানে পরপর দুটি উইকেট পড়ে। জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট খাতা না খুলেই মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হন। এরপর ইনিংসের রাশ কিছুটা ধরেন জেসন রয় ও বেন স্টোকস। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন তারা। ৬৬ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ৪১ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হন জেসন রয়। দলের ৭৪ রানের মাথায় ২৭ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার দ্বিতীয় শিকার হন বেন স্টোকস। এরপর অধিনায়ক জস বাটলার ও মইন আলি মিলে দলের ইনিংসের রাশ ধরেন। অর্ধশতরানে পার্টনারশিপ পূরণ করেন। শেষ পর্যন্ত ৭৫ রান জুটিতে যোগ করার পর দলের ১৪৯ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের। ৩৪ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে আউট হন মউন আলি। এরপর জস বাটলারকে এসে সঙ্গ দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন জস বাটলার। জুটিতে ৪৯ রান যোগ করেন তারা। ১৯৮ রানে ব্যক্তিগত ২৭ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হন লিভিংস্টোন। একই ওভারে ১৯৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬০ রানে হার্দিক পান্ডিয়ার চতুর্থ শিকার হন জস বাটলার। এরপর শেষের দিকে ডেভিড উইলি ও ক্রেইগ ওভারটন মিলে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। দুজন মিলে ৪৮ রানের পার্টনারশিপ করে। ২৪৭ রানে অষ্টম উইকেট পড়ে ইংল্য়ান্ডের। ১৮ রান করে যুজবেন্দ্র চাহলের বলে আউট হন ডেভিড উইলি। ২৫৭ রানে পড়ে নবম উইকেট। ৩২ রান করে চাহলের দ্বিতীয় শিকার হন ক্রেইগ ওভারটন। ২৬০ রানে অলআউট হয়ে যায় ব্রিটিশরা। খাতা না খুলেই চাহলের তৃতীয় শিকার হন রিসি টপলে।
রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি ভারতীয় দলরে। ১৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ১ রান কর রিসি টপলের বলে আউট হন শিখর ধওয়ান। এরপর শুরুটা ভালো করেও বড় রান করতে ব্যার্থ হন রোহিত শর্না। দলের ২১ রানের মাথায় ১৭ রান করে রিসি টপলের দ্বিতীয় শিকার হন রোহিত। এদিন ফের ব্য়াট হাতে ব্যর্থ হন বিরাট কোহলি। ১৭ রান করে রিসি টপলের বলে আউট হন তিনি। এরপর ঋষভ পন্থ ও সূর্যকুমার যাদব ৩৪ রান জুটিতে যোগ করেন। দলের ৭২ রানের মাথায় ১৬ রান করে ক্রেইগ ওভারটনের বলে আউট হন সূর্যকুমার। এরপর দলের ইনিংসের রাশ ধরেন ঋষভ পন্থ ও হার্দিক পান্ডিয়া। দুজনে মিলে একদিকে যেমন উইকেট বাঁচিয়ে ব্য়াট করেন, অপরিকে বাজে বলে প্রহার করে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। একের পর এক চোখ ধাঁধানো শট খেলেন তিনি। হার্দিক ও পন্থ দুজনেই নিজেদের অর্ধশতরান পূরণ করেন। নিজেদের মধ্যে শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ করে দলের জয়ের ভিত তৈরি করে দেন হার্দিক-ঋষভ জুটি। দলের ২০৫ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট পড়ে ভারতের। ৭১ রান করে ব্রিডন কার্সের বলে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া। এরপর ক্রিজে আসেন রবীন্দ্র জাদেজা। পন্থকে সঙ্গ দেন তিনি। এজবাস্টন টেস্টের পর ম্যাঞ্চেস্টারে সফরের দ্বিতীয় শতরান করেন ঋষভ পন্থ। শেষ পর্যন্ত ১২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন পন্থ ও ৭ রানে অপরাজিত থাকেন জাড্ডু। ৪২.১ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে য়ায় টিম ইন্ডিয়া।