কী হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য। আদৌ অক্টোবর নভেম্বর অস্ট্রেলিয়াপ মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে তো। না কি এবছরের মত বাতিল হয়ে যাবে টি-২০ বিশ্বকাপ। তাহলে বিশ্বকাপ হবেই বা কবে ২০২২ সালে। আইসিসির অ্যাপেক্স বডির বৈঠকের আগে এই প্রশ্নগুলিই ঘোরপাক খাচ্ছিল ক্রিকেট বিশ্বে। বৈঠকের আগেই আইসিসি সূত্রে জানা যায়, বিশ্বকাপ বাতিলের সিদ্ধান্তই নিতে চলেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। জানা গিয়েছিল বিশ্বকাপ বাতিল ঘোষণা করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিশ্বকাপ না হলে আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনাই বা কতটা? তা জানার জন্যও অপেক্ষা করছিল ক্রিকেট ভক্তরা। একইসঙ্গে চেয়ারম্যান হিসেবে শশাঙ্ক মনোহরের মেয়াদকাল কী দু’মাস বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল অ্যাপেক্স বডির বৈঠকে। কিন্তু এইসব বিষয়কে ছাপিয়ে অদ্ভুতভাবে আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে মুখ্য আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় অভ্যন্তরীণ গোপণীয়তা রক্ষা।
আরও পড়ুনঃজাপানি অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই স্টেডিয়ামের আমেজ,আপনার কথা পৌছে যাবে প্লেয়ারদের কানে
বিশ্ব ক্রিকেটের অ্যাপেক্স বডির বৈঠকে এদিন গোপনীয়তা রক্ষার ইস্যুতে সদস্যরা সুর চড়ানোয় বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঝুলেই রইল। ফলে ১০ জুনের আগে বিশ্বকাপ সংক্রান্ত কোনও বিষয়েই কোনওরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না আইসিসি। চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের নেতৃত্বে এদিন টেলি কনফারেন্সে বোর্ড মিটিং’য়ের নির্যাস এটাই। সদস্যদের দাবি করা গোপনীয়তা রক্ষার বিভিন্ন ইস্যুগুলি নিয়ে ১০ জুন পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আইসিসি সিইও। সদস্যদের আশ্বস্ত করার পরেই বিশ্বকাপ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে তারপরেই। এত গুরুত্বপূর্ণ সবার নির্যাস এটুকু হওয়ায় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তপলেছেন, বিশ্বকাপ বাতিলের খবর আগেই প্রকাশ্যে চলে আসার করাণেই কী সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখল আইসিসি।
আরও পড়ুনঃকরোনা আবহেই ১৭ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
আরও পড়ুনঃশুরু হচ্ছে ইপিএল,৩০ বছরের খরা কাটিয়ে স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় লিভারপুল
বোর্ড মিটিংয়ের পর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, আগামী ১০ জুনের পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বিশ্বকাপ নিয়ে। ততদিনে আইসিসি তদন্ত করে দেখবে কীভাবে গোপণ খবর চাউর হয়ে যাচ্ছে বাজারে। এথিক্স অফিসারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। এই কমিটিই খতিয়ে দেখবে খবর ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি। ১০ জুনের সভায় আইসিসির সিইও রিপোর্ট পেশ করবেন তদন্তের। আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে এহেন অদ্ভুত সিদ্ধান্তের ফলে ঝুলে রইল চলতি বছরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হতে চলা টোয়েন্টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য, একইসঙ্গে ঝুলে রইল আইপিএলের ভাগ্যও।