কেন নবরাত্রিতে অখন্ড জ্যোতি জ্বালানো হয়, জেনে নিন এর গুরুত্ব কি

অখণ্ডিতের সহজ অর্থ হল, যতক্ষণ পূজা চলবে, প্রদীপ যেন ততক্ষণ স্থায়ী হয়, অর্থাৎ প্রদীপ যেন নিভে না যায়। এ জন্য খেয়াল রাখতে হবে যে প্রদীপে অবারিত শিখা জ্বলছে তার তুলোর বাতি যেন যথেষ্ট বড় হয় এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘি থাকে।
 

যদিও সকালে এবং সন্ধ্যায় বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো হয়, তবে নবরাত্রি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যেমন মায়ের জাগরণ, চৌকি, অখন্ড জ্যোতি রাম চরিত মানসের একক পাঠে প্রজ্জ্বলিত হয়। ভক্তির ক্ষেত্রে অখন্ড জ্যোতির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে এই বিষয়টি সকলেই জানেন। অখন্ড জ্যোতি নিয়ে আলোচনা করার আগে প্রদীপ সম্পর্কেও জানা খুবই জরুরী।

ভক্তি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছায়  
ভক্ত প্রদীপে উপস্থিত অগ্নিদেবতার মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে সমবেদনা জানাতে চেষ্টা করে। এখানে ভক্তের বার্তাবাহক হিসেবে প্রদীপ তার অনুভূতি ঈশ্বর বা ইষ্টের কাছে পৌঁছে দেয়, তাই বলা হয় যে সব বাড়িতে নিত্য ভগবানের পূজা, প্রদীপ জ্বালানো, ঘণ্টা বাজানো, শঙ্খ বাজানোর প্রথা আছে। ভগবান ও মা লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। প্রদীপে আগুন জ্বালিয়ে যে কোনো ধরনের পূজা শুরু করা হয় এবং পূজা শেষে দেবতা বা দেবীর প্রদীপ থেকে আরতির ব্যবস্থা রয়েছে। 

Latest Videos

প্রদীপ অক্ষত থাকে 
যতক্ষণ পূজা চলছে, ততক্ষণ প্রদীপটি অবিচ্ছিন্ন রাখতে হবে, যাতে চারপাশের আভা ধীরে ধীরে তার শক্তি দ্বারা পরিষ্কার হয়। প্রদীপের আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রদীপ জ্বালানোর পর ধীরে ধীরে আশেপাশের এলাকাকে তার শিখার তাপে ঢেকে দেয়, অবারিত প্রদীপ যত বেশি জ্বলতে থাকে, ততই তার ক্ষেত্রফল বাড়তে থাকে। অখণ্ডিতের সহজ অর্থ হল, যতক্ষণ পূজা চলবে, প্রদীপ যেন ততক্ষণ স্থায়ী হয়, অর্থাৎ প্রদীপ যেন নিভে না যায়। এ জন্য খেয়াল রাখতে হবে যে প্রদীপে অবারিত শিখা জ্বলছে তার তুলোর বাতি যেন যথেষ্ট বড় হয় এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘি থাকে।

আরও পড়ুন- দুর্গাপুজা ও তার পরবর্তী সময় এই ৫ রাশির জন্য খুব চাপের হতে পারে, দেখে কোন রাশি আছে এই

আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোর সময় থেকে বাকি বছরটা এই ৪ রাশির জন্য অত্যন্ত শুভ, জেনে নিন কারা আছেন 

আরও পড়ুন- এই বছর মা দুর্গার আগমণ হবে 'হাতিতে' চড়ে, জেনে নিন মায়ের প্রতিটি বাহনের গুরুত্ব

জ্যোতি খারাপ কম্পন দূর করে
বাতি নিভতে না দেওয়ার পিছনে ধারণাটি হল যে কোনও বিরতি ছাড়াই বাতিটি ক্রমাগত জ্বালানোর কারণে এর শক্তি পুরো বাড়ি বা এমনকি একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলকে জুড়ে দেয়। নেতিবাচকতা বা উপরের বাধা, যাকে খারাপ কম্পনও বলা হয়, অগ্নিদেবতার দ্বারা আচ্ছাদিত অঞ্চলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধ্বংস হয়ে যায়, তাই নবরাত্রি জুড়ে একটি অবারিত শিখা জ্বালানোর ঐতিহ্য। মাইক্রো-ক্লিনার অর্থাৎ মাইক্রো ক্লিনার করার জন্য অগ্নির ভগবান ছাড়া আর কেউ নেই, অর্থাৎ আগুনের সংস্পর্শে আসার পর অপবিত্রতা বা নেতিবাচকতা গ্রাস হয়ে যায় এবং যা অবশিষ্ট থাকে তা খাঁটি সোনার মতো। ঘরে অবারিত শিখা জ্বালিয়ে সুখ, সমৃদ্ধি ও সম্পদ লাভ হয়।

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

'ভোট ব্যাঙ্কের জন্য Mamata রোহিঙ্গাদের হিন্দুদের জমি দিচ্ছে' বিস্ফোরক অভিযোগ Agnimitra-র
TMC ছেড়ে কেন BJP-তে শুভেন্দু! আজ নিজেই বলে দিলেন সব | Suvendu Adhikari | Bangla News
Bangladesh-এ হিন্দুনেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার, মুক্তির দাবিতে Md Yunus-কে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
'আমি বলছি, আমার নাম করে লিখে রাখুন' ঝাঁঝিয়ে উঠে যা বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
তন্ত্রযোগ? নাকি বৌমা ও ছেলেকে শিক্ষা দিতেই...আটক দাদু, ঠাকুমা ও জেঠিমা | Hooghly News Today