দুর্গাপুজো বা নবরাত্রির সময়ের একটি বাড়িতে ঘট প্রতিষ্ঠা হয়। পাশাপাশি অখণ্ড জ্যোতি জ্বালানো হয়। অখণ্ড জ্যোতি হল এমনই একটি প্রদীপ যা অনেকে মহায়লার পর দিন অর্থাৎ একাদশী থেকে জ্বালিয়ে রাখে। আর সেই প্রদীপ নিভিয়ে দেওয়া হয় না। দশমীর দিন ঘট বিসর্জন দেওয়ার পরেও এই প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখাই নিয়ম
দুর্গাপুজো বা নবরাত্রির সময়ের একটি বাড়িতে ঘট প্রতিষ্ঠা হয়। পাশাপাশি অখণ্ড জ্যোতি জ্বালানো হয়। অখণ্ড জ্যোতি হল এমনই একটি প্রদীপ যা অনেকে মহায়লার পর দিন অর্থাৎ একাদশী থেকে জ্বালিয়ে রাখে। আর সেই প্রদীপ নিভিয়ে দেওয়া হয় না। দশমীর দিন ঘট বিসর্জন দেওয়ার পরেও এই প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখাই নিয়ম। অনেক বাড়িতে ঘট স্থাপনের নিয়ম না থাকলেও অখণ্ড জ্যোতি জ্বালানোর নিয়ম রয়েছে। এটি খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।
নয় দিনব্যাপী এই উৎসবে শক্তির নয়টি রূপের পূজা করা হয়। সেই সঙ্গে নবরাত্রির প্রথম দিন থেকেই অনেকে বাড়িতে অখণ্ড জ্যোতি জ্বালান। অখন্ড মানে যা কখনো ভাঙা হয় না, তাই অখন্ড ধারণকেও নয় দিন পর্যন্ত না নির্বাপিত করে পোড়ানো উচিত। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুধু হচ্ছে মাতৃপক্ষ। এই সয়মটা জাগ্রত হয় দেবী। তাই দেবী দুর্গার আরাধণা করলে বা শক্তির আরাধনা করলে শুভ ফল পাওয়া যায়।
শাস্ত্র মত অখণ্ড জ্যোতি স্থাপনের নিয়ম
অখণ্ড জ্যোতি স্থাপনের সময় 'ওম জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কৃপালিনী দুর্গা ক্ষমা শিবা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোস্তুতেশ' মন্ত্রটি জপ করুন, ভগবান গণেশ, শিবাজি এবং মা দুর্গাকে স্মরণ করুন এবং তারপরে দুর্গা মা অখণ্ডের সামনে। শিখা জ্বালিয়ে দিন। তাতে পরিবারে কন্যাণ হবে বলে মনে করা হয়।
বিশ্বাসের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত শাশ্বত শিখার জন্য খাঁটি ঘি ব্যবহার করা শুভ বলে মনে করা হয়। তবে তা সম্ভব না হলে সরিষার তেল দিয়ে একটি অখন্ড জ্যোতিও জ্বালাতে পারেন। সেই সঙ্গে বিশেষ খেয়াল রাখুন নবরাত্রির নয় দিন পূর্ণ হওয়ার পরেও যেন অখণ্ড জ্যোতি নিজে নিভিয়ে না দেন। এই একচেটিয়া প্রদীপটি মন্দিরে রাখা যাক এবং ঘি নিঃশেষ হয়ে গেলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিভে যাবে।
বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে অনন্ত শিখা জ্বলে, সেই বাড়িতে কোনও না কোনও সদস্য উপস্থিত থাকা উচিত। কখনই ঘর সম্পূর্ণ খালি রাখবেন না। অন্যদিকে, আপনি যদি একক প্রদীপ জ্বালান, তবে মা দুর্গার ডান দিকে ঘি প্রদীপ রাখুন এবং প্রদীপে সরিষার তেল ব্যবহার করা হলে তা দেবীর বাম দিকে রাখতে হবে।