Durga Puja- বালুরঘাটের সাহা পরিবারের দুর্গাপুজোয় গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে

মন্থন ষষ্ঠীতে প্রতিমা তৈরি শুরু হয়। মহালয়ার দিনই মায়ের চক্ষুদান হয় ও প্রতিমার রং করার কাজ শেষ করতে হয়। এই পুজোয় অন্নভোগ হয় না। 

করোনার (Corona) কারণে এবার বালুরঘাট (Balurghat) সাহা বাড়ির দুর্গাপুজোয় (Saha Family Durga Puja) কোনওরকম কাঁটছাট করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে একাধিক নিয়ম। বনেদি বাড়ির পুজোর (Bonedi Barir Pujo) মধ্যে বালুরঘাটের সাহা বাড়ির পুজোও অন্যতম। এবারে এই পুজো ১৮১ বছরের পা দিল। এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা বনমালী সাহা রায়। তিনি বাংলাদেশের পাবনা জেলার জামাত্তার বাসিন্দা ছিলেন। 

বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে জলপথে বালুরঘাটে ব্যবসা (Business) করতে এসেছিলেন বনমালী। এরপর সেখানে তিনি স্বপ্নাদেশ পান। তারপরই বালুরঘাটের বিশ্বাসপাড়া এলাকায় মা দুর্গার পুজো (Durga Puja) শুরু করেন। সেই থেকে সাহা বাড়িতে দেবী দুর্গার পুজো হয়ে আসছে। বর্তমানে তাঁর উত্তরসূরি কালি কৃষ্ণ সাহা রায় এই পুজো করেন। আর পাঁচটা দুর্গা পুজোর থেকে সাহা বাড়ির দুর্গার মূর্তি একদম আলাদা। এখানে দেবী দুর্গার স্থান অপরিবর্তিত থাকলেও গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। দুর্গার ডান দিকে গণেশের (Ganesh) থাকার কথা থাকলেও বাঁ দিকে তা থাকে। আবার ঠিক বাঁ দিকে কার্তিকের থাকার কথা থাকলেও দুর্গার ডান দিকে রাখা হয় তাঁকে। এছাড়াও বংশ পরম্পরায় সাহা বাড়িতে পুরোহিতরা পুজো করেন এবং মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা তৈরি করেন। তবে এবার করোনা ও লকডাউনের জন্য সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পুজোর আয়োজন করছে সাহা পরিবার।

Latest Videos

 

আরও পড়ুন- পুজোয় কলকাতার রাস্তায় মোতায়েন থাকবে ৫ হাজার পুলিশ, গাইড ম্যাপ প্রকাশ করে বললেন সিপি

জানা গিয়েছে, বনমালী সাহা যখন এই পুজো করতেন তখন মৃৎশিল্পী অন্য দুর্গা প্রতিমার মত সাহা বাড়ির দুর্গা প্রতিমাও তৈরি করেছিলেন। কিন্তু, পরদিন সকালে সবার নজরে আসে গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই মৃৎশিল্পী তাদের পুনরায় সঠিক স্থানে বসিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু, পরদিন সকালে আবার তাদের স্থান পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। এই দেখেই বনমালী নির্দেশ দিয়েছিলেন এভাবেই মায়ের পুজো হবে। সেই থেকে একই নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে সাহা বাড়ির দুর্গা পুজো হয়ে আসছে। 

এছাড়াও মন্থন ষষ্ঠীতে প্রতিমা তৈরি শুরু হয়। মহালয়ার দিনই মায়ের চক্ষুদান হয় ও প্রতিমার রং করার কাজ শেষ করতে হয়। এই পুজোয় অন্নভোগ হয় না। এখানে পরমান্ন দেওয়া হয়। পুজোর কয়েকদিন নিরামিষ খাওয়া হয়। 

আরও পড়ুন- Durga Puja- পুরুলিয়ার কাশিপুর রাজবাড়িতে দেবী দুর্গা চতুর্ভুজা

কালি কৃষ্ণ সাহা রায় বলেন, "বনমালী সাহা রায় এই পুজো শুরু করেছিলেন। তাঁর সময় থেকে যেভাবে মায়ের পুজো হয়ে আসছিল, এখন ঠিক একইভাবে মায়ের পুজো করা হয়। পুজোর সব দিন মাকে নিরামিষ ভোগ দেওয়া হয় ও আমরাও নিরামিষ খাবার খাই। এছাড়াও মায়ের ভোগ হিসেবে দুধের তৈরি নানা উপকরণ দেওয়া হয়। বংশ পরম্পরায় পুরোহিত, মৃৎশিল্পী প্রতিমা তৈরি করে আসছেন।"

আরও পড়ুন- Durga Puja: পকসো মামলায় কয়েদি শিল্পীর তৈরি দুর্গা প্রতিমা বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে

করোনার জন্য এবারের পুজোয় তেমন কোনও কাটছাঁট করা হয়নি। তবে একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি কেউ অঞ্জলি দিতে পারবে না। মন্দির প্রাঙ্গণে সকলকেই মাস্ক পরতে হবে। এছাড়াও যাতে মন্দির চত্বরে ভিড় না হয় তার জন্য বিশেষ নজর রাখা হবে বলেও সাহা পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।

Share this article
click me!

Latest Videos

Malda-র রাস্তায় সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ কর্মসূচি! সচেতনার বার্তা র‍্যালির মাধ্যমে
RG Kar Case Update Today : চাইলেন না চরম শাস্তি! মোক্ষম চাল দিলো অভয়ার পরিবার | Calcutta High Court
এবার আগুনের গ্রাসে অন্য এলাকা! পুড়ছে স্যান দিয়েগো কাউন্টির একাধিক অংশ San Diego fire | Wildfires
Suvendu on Kartik Maharaj : কেন পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কার্তিক মহারাজ? খোলসা করে সবটাই বললেন শুভেন্দু
Suvendu on Trump : ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শুভেন্দু অধিকারী, কারন জানলে অবাক হবেন