জেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে পুজো যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় তার জন্যই হোমগার্ড নেওয়া হয়েছে। নির্বিঘ্নে পুজোর আয়োজন করাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ পুরুলিয়া জেলা পুলিশের। পুজোর গাইড ম্যাপ উদ্বোধন সহ পুজো কমিটিগুল্র হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে।
পুরুলিয়া জেলায় ৬২৮ টি পুজো মণ্ডপে শান্তি এবং নির্বিঘ্নে পুজো সম্পন্ন করার জন্য ৪০০ জন অস্থায়ী হোমগার্ড নেওয়া হল। সেই হোমগার্ড টিমকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন অভিজ্ঞ পুলিশ অফিসাররা। জেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে পুজো যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় তার জন্যই হোমগার্ড নেওয়া হয়েছে। নির্বিঘ্নে পুজোর আয়োজন করাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ পুরুলিয়া জেলা পুলিশের।
পুজোর গাইড ম্যাপ উদ্বোধন সহ পুজো কমিটিগুলির হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু, পুরুলিয়া পৌরসভার প্রশাসক নব্যেন্দু মাহালী আর পুরুলিয়ার সব থানার ওসি সহ অন্য পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- 'রিয়া চক্রবর্তীর পর এবার পালা আরিয়ানের', গ্রেফতারি নিয়ে আক্রমণ অধীরের
করোনা পরিস্থিতিতে হওয়া দুর্গাপুজোর চারদিন ছাড়াও নিরঞ্জন নিয়ে বিশেষ নিয়ম লাগু করেছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে নিরঞ্জনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে নবান্ন। কোভিডবিধি মেনে নিরঞ্জনে জমায়েত কম করে এবং ডিজে মিউজিক সিস্টেমের ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান বলেন, "পুজো কমিটিগুলোকে পুজোর সময় কী কী করতে হবে বা কী কী নিয়ম মানতে হবে সেসব নিয়ে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ১৫ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর নিরঞ্জনের জন্য সরকার থেকে যে সময়সীমা ধার্য করেছে এবং এ বিষয়ে যে নোটিশ জারি করা হয়েছে তাও পুজো কমিটিগুলিকে জানানো হয়েছে। পুজো কমিটিগুলির কাছে অনুরোধ নিরঞ্জন ভালোভাবে করুন। কিন্তু জমায়েত কম করে ডিজে মিউজিক বন্ধ করে এবং দূষণ পর্ষদ বোর্ডের যে নিয়ম রয়েছে তা মেনে করুন। পুলিশ প্রশাসন সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে। পুরুলিয়া শহরে পুজো দেখতে এসে দর্শনার্থীরা পার্কিংয়ের সমস্যায় ভোগেন। তার জন্য পুজো কমিটিগুলিকে বলা হবে যাতে মণ্ডপের সামনে পার্কিংয়ের জন্য জায়গা চিহ্নিত করা হয়।"
এবার পুরুলিয়া জেলায় পুজো শান্তিতে এবং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। জেলা পুলিশ থেকে ৪০০ জন অস্থায়ী হোমগার্ড নেওয়া হয়েছে। তাঁদেরকে জেলা পুলিশের তরফে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পুজোর সময় ১০দিন ধরে এই হোমগার্ড টিম বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে ভিড় সামলানোর পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে নজরদারিও চালাবে। এবার জেলায় মোট ৬২৮টি পুজো হচ্ছে। জেলায় মোট মহিলা কমিটির দ্বারা পুজোর সংখ্যা ১৬টি। এবার আর নতুন করে কোনও পুজোর অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন- মহিলাদের শৌচাগার দখল করে পার্টি অফিস করার অভিযোগ, 'এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি', তোপ BJP-র
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু এবং পুরুলিয়া পৌরসভার প্রশাসক নবেন্দু মাহালি। দুর্গাপুজোর সময় রাজ্য সরকার, পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন এবং পুরুলিয়া পৌরসভার বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয় তুলে ধরেন তাঁরা।