ডেইলিহান্ট শারদ সম্মান ২০২২- দ্বিতীয় বছরে পড়ল। এর জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে এই সংস্থা। ডিজিটাল কনটেন্ট ডিস্ট্রিবিউশনে এক আস্থা অর্জনকারী সংস্থা হিসাবে ১ দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে ডেইলিহান্ট।
শারদ সম্মানের ঝুলিতে ১ বছর আগে জুড়েছে ডেইলিহান্টেরও নাম। বাঙালির দুর্গাপুজো-কে কেন্দ্র করে যে উন্মাদনা তা থেকে কেউই নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে না। বিশেষ করে যারা সংবাদ আদান-প্রদানে কাজ করে তাদের পক্ষে বাঙালির এত বড় উৎসবকে উহ্য রেখে কিছু করাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই শারদ সম্মানের লড়াইয়ে নেমে পড়েছে ডেইলিহান্ট। তাঁদের এই সম্মান প্রদান ইভেন্ট এবার দ্বিতীয় বর্ষে পড়েছে। আর এর জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে এই সংস্থা। যেমন ২৮ সেপ্টেম্বর সল্টলেকের ন্যাপের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের। যেখানে একটি দুর্গা প্রতিমার উপরে একটি ফোটোগ্রাফি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে। হোম কামিং নামে শীর্ষক এই অনুষ্ঠানটি আবার ডেইলিহান্ট শারদ সম্মানের জন্যও নির্বাচিত হয়েছে।
প্রথম বছরে ডেইলিহান্ট শারদ সম্মান পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ১০ এবং তা সীমাবদ্ধ ছিল শুধুমাত্র শহর কলকাতার মধ্যে। এবার শুধু ইউনেস্কোর নজরের সেরা উৎসবের শহর নয়,সম্মানের পরিধি ব্যপ্ত করা হয়েছে বাংলা জুড়েই। ২০২২ সালে ডেইলিহান্টের পক্ষ থেকে ৪০টি সেরা পুজোর মধ্যে ২০টি দুর্গাপুজো কমিটিকে নির্বাচন করা হবে কলকাতা থেকে। বাকি ২০টি দুর্গাপুজো কমিটির নির্বাচন করা হবে পশ্চিমবঙ্গের ১০টি জেলা থেকে। এই জেলাগুলি হলো উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, নদীয়া, বীরভূম, পুর্ব মেদিনীপুর।
কলকাতা এবং অন্যান্য জেলা, উভয় পক্ষ থেকেই মোট ৫০টি করে পুজোকে সেরার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে। এই বিভাগগুলির মধ্যে রয়েছে, উৎসবের সেরা ঐতিজ্য, উৎসবের সেরা পরিবেশ, উৎসবের সেরা শিল্প ভাবনা, উৎসবের সেরা বন্ধন, উৎসবের সেরা সামাজিক দায়বদ্ধতা ইত্যাদি। অভিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলী দ্বারা নির্বাচিত পুজো কমিটিগুলি ডেইলিহান্ট শারদ সম্মান লাভ করবেন। টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে এই শারদ সম্মান প্রদানের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন-
'কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা-কাকার মৃত্যু! একার দায়িত্বে সংসার ধরে রেখেছিলেন মা'- শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
'শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই মুখ ফিরিয়েছিলেন, এখন সবাইকে ডেকে বলেন, নন্দিনী তো আমাদেরই বৌমা!'
'যাঁদের জন্য কোণঠাসা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ! আপনারা না থাকলে ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম না'- শ্রীলেখা মিত্র