বাংলার পুজোকে বিশ্ব মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার প্রধান কারিগর রাজ্যের শিল্পীরা। আর্ট কলেজের প্রতিভা দুর্গাপুজোর সম্মান আরও বাড়িয়ে দেয়। সেই প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে বেহালার বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সঙ্ঘ। তাঁদের এবছরের প্রয়াস আপনার দৃষ্টি আমাদের সৃষ্টি।
২০২২-এর দুর্গাপুজোয় ‘সিটি অফ জয়’ কলকাতার মুকুটে নয়া পালক ইউনেস্কোর হেরিটেজ উৎসবের সম্মান। এই সম্মান পেয়ে উদ্ভাসিত সারা বাংলা। গত বছরের ডিসেম্বরে প্যারিসে আন্তঃসরকার কমিটির ১৬ তম অধিবেশনে 'কলকাতা দুর্গা পূজা' আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হয়েছিল। আর এই স্বীকৃতিকে রাষ্ট্রীয় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান বাংলায় পর্যটনের ব্যবসা বাড়ুক। বিশ্বের পাঁচটি দেশের কার্নিভাল ইতিমধ্যেই বিশ্ব বিখ্যাত। তাতে সামিল বাংলার পুজোও।
বাংলার পুজোকে বিশ্ব মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার প্রধান কারিগর রাজ্যের শিল্পীরা। আর্ট কলেজের প্রতিভা দুর্গাপুজোর সম্মান আরও বাড়িয়ে দেয়। সেই প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে বেহালার বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সঙ্ঘ। তাঁদের এবছরের প্রয়াস আপনার দৃষ্টি আমাদের সৃষ্টি। এই বছর গোটা মন্ডপ জুড়ে তুলে আনা হচ্ছে আর্ট কলেজের পরিবেশ। কীভাবে একের পর এক শিল্পী নিজেদের কাজে মগ্ন থাকেন, সেই গল্পই বলবে বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সঙ্ঘের প্যান্ডেল।
ক্লাব সভাপতি রবীন মন্ডল বলেন শিল্পী উত্তম মাইতির ভাবনায় এই থিম ফুটে উঠছে মন্ডপ ও আলোকসজ্জায়। ২০২২ সালের ১৬ বছরে পড়ল বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সঙ্ঘের পুজো।
গত তিন বছর করোনার কবলে সারা বিশ্ব জর্জরিত। এই বছর কোথাও তাই একটু হলেও স্বস্তির শ্বাস পেয়েছে শহর কলকাতা। কারণ সেই অর্থে করোনার প্রকোপ যেমন নেই, তেমনই ভ্যাকসিনকে হাতিয়ার করে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মনে বল পেয়েছে মানুষ। গত তিন বছরের শুধু হারানোর যন্ত্রণা ভুলে ২০২২ সালের দুর্গোৎসব মহামিলন ক্ষেত্র হয়ে উঠুক, চাইছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তবে অবশ্যই বিধি মেনে, সাবধানতা অবলম্বন করে। তবে সর্বাঙ্গীণ সার্থক হবে মায়ের আরাধনা। সেই লক্ষ্যেই পুজো প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বুড়ো শিবতলা জনকল্যাণ সঙ্ঘের সদস্যরা।