মুষলধারায় বর্ষা নেমেছে তখন।গড়িয়াহাট-এর মোড়ের ক্রসিং পুরোপুরি ব্যস্ত।ছাতা হাতে নিয়ে ঘুরতে ঘুরতেই কিছু মানুষ পুজোর কেনাকাটি করছেন।কলেজ গ্রুপ থেকে রোমান্টিক কাপেল কিংবা প্রেমে না পড়া আপেল ছেলের দল, কে নেই সেই ভিড়ে। আর এতো কিছুর মধ্যেও একদল মানুষ ,পুজো থেকে প্রায় শত হস্ত দূরে।এক ফোটাও হুঁশ নেই তাদের।কারন তারা তাদের রাজ্যের রাজাকে নিরাপত্তা দিতে চায়। মন্ত্রী, সেনাপতি ,হাতি-ঘোড়া সহ প্রায় বিশাল বড় বাহিনী তাদের।কিন্তু যুদ্ধ ছাড়া তারা আবার কিছুই বঝেনা। তাই কিই বা যায় আসে, বাইরের জগত নিয়ে। আসলে তারা আর কেউ নন ,তারা হলেন আমজনতা। পথ চলতি কিছু মানুষ। যারা মন দিয়ে দাবা খেলে চলেছেন,গড়িয়াহাট ফ্লাইওভারের নিচের 'গড়িয়াহাট চেস ক্লাব' এ।
আরও পড়ুন, পুজোটাই পুরো মাটি কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিট ক্লাবে
১৯৮৫ সাল থেকে চলে আসছে ,গড়িয়াহাট ফ্লাইওভারের নিচের এই চেস ক্লাবের ঐতিহ্য। ফ্লাইওভারের উপর থেকে ক্রমাগত বর্ষার ছাঁট প্রায় গায়ের একপাশ প্রায় ভিজিয়ে দিচ্ছে।একের পর এক গাড়ির ভয়ঙ্কর আওয়াজ, মাইকে ঢাকের বাদ্যি বাজছে । সবই চলছে, কিন্তু এই জায়গাটাই দাঁড়ালেই মনে হবে সময় ঠিক কতটা দামি। মোবাইলে টাইমার চালু করে চলছে সেই দাবার যুদ্ধ। সময়ের খেলায় এক এক করে কেউ হারাচ্ছে তার রাজ্যের সব কিছু।তাই পুজোর শপিং শেষে অনেকেই দাড়িয়েই যায় এই দাবা খেলা দেখতে।
আরও পড়ুন, দুর্গোৎসবে পরিবেশকে প্লাস্টিকবিহীন করার অঙ্গীকার নিয়েছে ডায়মন্ড পার্ক সর্বজনীন
তবে যাই হোক বাঙালি খেতে ভালবাসে,বই পড়তে ভালোবাসে কিন্তু ততটা ঠিক নাকি পরিশ্রমী নয়।আর কেনই বা হবে । তাই বাঙালি বুদ্ধিতেই বাজিমাত করে।বিনা পরিশ্রমেই বসে বসেই, ঠাণ্ডা মাথায় হারিয়ে দেয় অপরের রাজ্যের রাজা কে।