দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম সেরা পুজো গুলোর মধ্যে একটি সিকদার বাগান সাধারন দুর্গোৎসবের পুজো। প্রতিবারের মতই এবারও বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে তুলে ধরছেন আয়োজকেরা।
উমার বাড়ি ফেরা মানে শুধুই কি আনন্দ উতসবেই সীমিত থাকা! নাকি উমার বাড়ি ফেরা-কে ঘিরে আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে সামাজিক কোনও না কোনও দায়বদ্ধতা থেকে যায় পুজো কমিটি এবং ক্লাব গুলোর মধ্যে? অবশ্যই কোথাও গিয়ে এই দায়বদ্ধতা থাকে বলেই, বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপস্থাপনাগুলো শুধু মাত্র জাঁকজমকে আটকে না থেকে বৃহৎ সামাজিক প্রেক্ষাপটকে জনসাধারণের সামনে তুলে আনে। উত্তর কলকাতার অন্যতম সেরা পুজো গুলোর মধ্যে একটি সিকদার বাগান সাধারন দুর্গোৎসবের পুজো। প্রতিবারের মতই এবারও বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে তুলে ধরছেন আয়োজকেরা।
সিকদার বাগান পুজো কমিটির মতে, "আমরা কত কিছু দেখি। তবে সত্যিই কি আমরা দেখতে পাই ? নাকি আমাদের যতটুকু দেখার অভ্যাস করানো হয়, আমরা ঠিক ততটুকু দেখেই গোটা একটা জীবন কাটিয়ে দেই। সুন্দর বললেই ফুল দেখতে পাই। ভয় বললে অন্ধকার দেখি। সকাল দেখি টাইগার হিলের সানরাইজ আর বিকেল বলতে দেখি দীঘার সৈকতে সমুদ্রের ঢেউ। আলো দেখি শপিংমলে। অন্ধকার দেখি শ্মশানে অথবা বাঁশ বাগানে। এতকিছু দেখার পরেও স্বাদ মেটে না । কারণ আমরা যা দেখি তা কখনোই দেখতে পারিনা। যেমন দশভূজা দেখি দশ দিক দেখতে পাই না। পাথরের প্রতিমা দেখি কিন্তু পাথরে প্রতিমা দেখতে পাই না। দর্পণে প্রতিফলন দেখি, প্রতিসরণ দেখতে পাই না। জীব দেখি জীবন দেখতে পাই না।"
আর ঠিক এই কারণেই দেখার এক নতুন করে চেষ্টা করতে চায় এই পুজো কমিটি। যা দেখেছি সেখান থেকেই শুরু হবে ২০২২ সালে সিকদার বাগান সাধারন দুর্গোৎসবে অদেখার যাত্রা। পুজো হবে 'জমজমাট', প্রতিমা শিল্পী সজ্জায় থাকবেন ভবতোষ সুতার ও থিম কল্পনায় মিলবে প্রদীপ্ত কর্মকারের ছোঁয়া। পুজোর শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সিকদার বাগান পুজো কমিটি। তাই জমজমাট পুজো দেখতে আপনাকে আসতে হবে এখানে।