পুজো মানেই ছোটদের আনন্দ। জামা জুতো সবই নতুন চাই। সঙ্গে যদি খেলনা গাড়ি বা পুতুল হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। ছোটদের প্রিয় খেলনাকেই থিম করে পুজো মাতাতে চাইছে উত্তর কলকাতার নোনা পুকুর লোহাপট্টি। মণ্ডপ সাজান হয়েছে খেলার আদলে। তবে খেলনা দিয়ে নয়।
পুজো মানেই ছোটদের আনন্দ। জামা জুতো সবই নতুন চাই। সঙ্গে যদি খেলনা গাড়ি বা পুতুল হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। ছোটদের প্রিয় খেলনাকেই থিম করে পুজো মাতাতে চাইছে উত্তর কলকাতার নোনা পুকুর লোহাপট্টি। মণ্ডপ সাজান হয়েছে খেলার আদলে। তবে খেলনা দিয়ে নয়।
উদ্যোক্তাদের কথায় প্ল্যাস্টিক বোতল দিয়েই তাঁরা মণ্ডপ সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। ফেলে দেওয়া বাতিল প্ল্যাস্টিক বোতল রঙ করেই মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। প্ল্যাস্টত বোতল যেহেতু দাহ্য পদার্থ সেই কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হয়েছে।
নোনা পুকুর লোহাপট্টির পুজো ৭২ বছরে পা দিতে চলেছে। উত্তর কলকাতার প্রাচীনতম পুজোগুলির মধ্যে একটি। স্বাধীনতের পর পরই শুরু হয়েছিল এই পুজো। সেই কারণেই অনেত শারদোৎসবের সাক্ষী। তবে এবার শিশুদের আকর্ষণের জন্যই খেলনা থিম রেখেছে তারা। মণ্ডপে এতই রঙ দেখে মনে হবে রঙের মেলা বসেছে। দূর থেকে দেখতে রঙিন এই মণ্ডপ অত্যান্ত আকর্ষীয় হবে বলেও দাবি উদ্যোক্তাদের।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, তাঁদের পুজো মণ্ডপ যথেষ্টই রঙিন হবে। যা আকর্ষণ করবে দর্শকদের। প্রাচীন পুজো ঘিরে স্থানীয়দের উন্মাদনাও রয়েছে। প্রত্যেক বছরের মত এবারই কলকাতা ও শহরতলি থেকে মানুষ তাদের প্রতিমা দেখতে আসবেন এমনটাই আশা করছেন তাঁরা।
চরম ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পি দুলাল পাল। ব্যস্ত হাতে সহযোগীদের নিয়ে মণ্ডপ সাজাচ্ছেন বিশ্বজিৎ মণ্ডল। দুই শিল্পির উদ্যোগে রীতিমত সেজে উঠছে পুজো মণ্ডপ। দর্শকদের মন ভালো করাই তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। উদ্যোক্তাদের কথায় পুজো দেখতে এলে ছোটদেরতো ভাল লাগবেই। পাশাপাশি বড়রাও ফিরে যাবেন শৈশবের দিনগুলিতে।