পন্ডিত দেবজ্যোতি বসু সংগীত তথা সুরের জগতের এক প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব যিনি হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের ওস্তাদ এবং সুরকার হিসেবে সংগীত জগতে তাঁর বিশেষ অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণ পেয়েছেন। সম্প্রতি তাঁর মুখে উঠে এসেছে কিভাবে শাস্ত্রীয় সংগীতের জগতেও স্বজনপোষণ করা হয় সেই বিস্ফোরক তথ্য।
পন্ডিত দেবজ্যোতি বসু সংগীত তথা সুরের জগতের এক প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব যিনি হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীতের ওস্তাদ এবং সুরকার হিসেবে সংগীত জগতে তাঁর বিশেষ অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণ পেয়েছেন। তিনি এমন একজন বাঙালি শিল্পী যিনি আই সি সি আর-এর মাধ্যমে ১০ টির ও বেশি দেশে সফর করেছেন ভারতীয় সংগীতের দূত হয়ে। তাঁর উজ্বল কেরিয়ারের দিকে যদি তাকানো যায় তবে বলা যায়, জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক শেখর দাসের চলচ্চিত্র সহ ১০ টির ও বেশি ছবিতে সুর দিয়েছেন। শুধুমাত্র সংগীতই নয় টেলিভিশনেও কিছু অসামান্য কাজ করেছেন তিনি, যেমন ৫৫০ টির বেশি নন ফিকাহ্ন পর্ব পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও তিনি জনকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গেও জড়িত, তাঁর সংস্থা বোস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি তাঁর তহবিল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নানারকম জনকল্যাণমূলক কাজ করেছেন।
সামাজিক কল্যাণের ইচ্ছা থেকেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন বলে নিজেই জানান। রাজনীতি সম্পর্কে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি কিছুটা ব্যাঙ্গাত্মক সুরে বলেন, 'আমি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পে মূলধারার রাজনীতির চেয়ে বেশি রাজনীতি দেখতে পাই।" তিনি বলেন, রাজনীতিতে তাঁর আগ্রহ শূন্য এবং জনগণের জন্য কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি দলে যোগ দিয়েছেন। তিনি জীবনকে তাঁর দেশের জনগণের সেবায় নিয়োজিত করবেন বলে বিবেচনা করেন, তিনি তাদের সঙ্গীত দিয়ে বিনোদন দেন বা মূলধারার জনহিতকর কাজ করেন বলে মনে করেন। উল্লেখিত ইতিহাসে রাজনীতিতে যোগদানকারী একমাত্র হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তিনি গর্বিত ও বিস্মিত বোধ করেন।'
আরও পড়ুন,পুজো আসছে, রইলো কলকাতার সেরা ১৫টি শাড়ির দোকানের লিস্ট, মিস করবেন না
আরও পড়ুন,ক্রমশ ভাইরাল খেসারি লাল ও শিল্পী রাজের নতুন ভোজপুরী গান, ২ দিনে ১ মিলয়নেরও বেশি ভিউ
তাঁর আগাম কাজ সম্পর্কে কথা বলার সময় তিনি জানান যে তিনি বাংলার জনপ্রিয় শিল্পীদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সিঙ্গল এলবামে কাজ করছেন যা দুর্গা পূজার আগে মুক্তি পাবে। সরোদ বাদক হিসেবে উৎসবের মরসুমে কনসার্টের জন্য অপেক্ষা করছেন বলেও জানান। এছাড়াও রাজ্য সঙ্গীত একাডেমির অফিসিয়াল আহ্বায়ক হিসাবে এই মুহূর্তে সঙ্গীতের প্রচার এবং নতুন প্রতিভার খোঁজে বাংলার গ্রামীণ অঞ্চলেও কাজ করার বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। কোভিড পরবর্তী সময়ে বোস ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমগুলি পুনরায় নিতুন উদ্যোগে শুরু করতে চান তিনি এছাড়াও নতুন বছরে নতুন উদ্যোগ ও পরিকল্পনার সঙ্গে শুরু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।