সরস্বতী পুজো মানে পড়ুয়া-শিক্ষক আর শিল্পীদের এক আলাদা অনুভূতি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে থাকে সময়, পাল্টাতে থাকে চেনা ছকের জীবন। তবুও কোথাও গিয়ে সরস্বতী পুজোর সকাল আজও ঝলমলে। পরিবারের খুদে সদস্যদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বড়দেরও উত্তেজনা। ঠাকুর আনা থেকে প্রতিমার সাজ, ভোগ, আড্ডার আসর, তালিকা থেকে বাদ পড়ে না কোনও কিছুই।
আরও পড়ুনঃ বাড়ির গিন্নির মতো নিষ্ঠা মেনে বাগদেবীর আরাধনায় মাতলেন শুভশ্রী, শেয়ার করলেন ভিডিও
শৈশবের সেই অনুভূতি আজও সতেজ সরোদিয়া তেজেন্দ্রনারায়ণের কাছে। প্রতি বছরই মহাসমারহে বাণীবন্দনা করে থাকেন তিনি। পরিবারের সকল সদস্য, বন্ধুবান্ধব, ছাত্রছাত্রী, সকলের জন্যই এদিন অবারিত দ্বার। বেলা এগারোটায় বসা পুজো শেষ হতে সময় নেয় দুঘন্টা। এরপরই প্রসাদ-ভোগ বিরতণ পর্ব। এরপরই পাত পেরে ভুঁরিভোজ। এখানেই শেষ নয়, বিকেলে আবার গানের আসর।
সাধারণত এই দিন তেজেন্দ্রনারায়ণ কোনও অনুষ্ঠান রাখেন না। পরিবারের সঙ্গে চুটিয়ে উপভোগ করেন পুজোপার্বণ। এবার পুজোর আয়োজন শুরু হতে খানিক দেরি হলেও থাকল না কোনও খামতি। আজও কি পুজোর আমেজে শৈশব ধরা দেয়, তিনি জানালেন 'ছোটবেলায় যা পরিবেশ ছিল এখনও তাই আছে। ছোটরা-মহিলারা শাড়ি পরছেন, ছেলেদের পরণে পাঞ্জাবী। তবে এখন উপকরণ বেড়েছে অনেক, আমাদের সময় এত কিছু ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়া, সেলফি... কাউকে প্রস্তাব দিতে হলে ভাবতে হত অনেক, এখন তার বালাই নেই। তবে অনুভূতিটা আজও একই আছে। অন্তত আমার তাই মনে হয়।'