প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রুমা গুহ ঠাকুরতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪। বালিগঞ্জ প্লেসের বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। আজ, সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। গত দুদিন ধরেই তাঁর শারীরিক অবনতি হয়েছিল। গতকাল সন্ধে থেকেই তাঁর শরীর আরও খারাপ করে। বাড়ির লোককে জানানও তিনি সে কথা। রাতে ঘুম আসছে না বলেও জানান তিনি। আজ সরকালে তাঁকে ডাকতে গিয়ে পরিচারিকা দেখেন, তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। তার পরেই চিকিৎসককে ডাকা হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আজ বিকেলেই কলকাতায় আসছেন ছেলে অমিত কুমার। তিনি এলেই আজ বিকেলে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
তাঁর অভিনীত, পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, আশিতে আসিও না আজও বাঙালির মনে জীবন্ত রয়ে গিয়েছে। ১৯৪৪ এ জোয়ার ভাঁটা হিন্দি ছবি দিয়ে তাঁর অভিনয় জগতে পথ চলা শুরু। সেই ছবির পরিচালক ছিলেন অমিয় চক্রবর্তী। ১৯৫৯ সালে পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছবি দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ তাঁর। ১৯৬২ সত্যজিৎ রায়ের অভিযান ছবিতে অভিনয় করেছেন রুমা গুহ ঠাকুরতা। এছাড়াও তাঁর উল্লেখ্যযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে, গঙ্গা, নির্জন সৈকতে, পলাতক, বালিকা বধূ, অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি, বাঘিনী, দাদার কীর্তি, ৩৬ চৌরঙ্গি লেন, অমৃত কুণ্ডের সন্ধানে, আক্রোশ, গণশত্রু, হুইল চেয়ার, দ্য নেমসেক।
ইংরেজি ছবি দ্য নেমসেক-এই তাঁকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল। ঝুম্পা লাহিড়ীর উপন্যাস অবলম্বনে এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ইরফান খান, তাব্বু। বেশ কিছু ছবিতে প্লে ব্যাক গেয়েছিলন রুমা গুহঠাকুরতা। তাই শুধু চলচ্চিত্র জগৎ নয়, কয়ার গানের জগতেও তিনি বিশেষ ছাপ রেখে গিয়েছেন।
১৯৫১ সালে কিংবদন্তী শিল্পী কিশোর কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় রুমা গুহঠাকুরতা। তাঁদের সন্তান অমিত কুমারও সঙ্গীত জগতের জনপ্রিয় তারকা। রুমা গুহঠাকুরতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া বাংলা চলচ্চিত্র জগতে।