আইএসএলের উদ্বোধনের সময়ই এফএসডিএলের প্রতিষ্ঠাতা নীতা আম্বানি বলেছিলেন এই টুর্নামেন্ট ভারতীয় ফুটবলকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাবে। ভারতীয় ফুটবলের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে আইএসএল। তার কথা যে শুধু কথার কথা নয়, তা প্রমাণিত হচ্ছে দ্রুতগতিতে। এবার আইএসএলের মুকুটে যুক্ত হল আরও এক নয়া পালক। বিশ্বের পেশাদার ফুটবল লিগগুলির সংগঠন ওয়ার্ল্ড ফুটবল লিগে অন্তর্ভুক্ত হল আইএসএল। এবার প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, বুন্দেশলিগা, সিরি আঁ-র মতো বিশ্বের সমস্ত সেরা লিগের সঙ্গে একে ছাতার তলায় চলে এল ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। বলা যায় বিশ্ব ফুটবলে নতুন পরিচিত পেল ভারতীয় ফুটবল।
এর আগে এশিয়া মহাদেশ মোট ৬টি লিগ ওয়ার্ল্ড লিগস্ ফোরামের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার কোনও লিগই আজ পর্যন্ত ডব্লুএফএলের তালিকায় জায়গা করতে পারেনি। এবার এই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার কোনও লিগ হিসেবে আইএসএল এই সম্মান পেল। বিশ্ব ফুটবলের ১২০০ ক্লাব এই ফোরামের অংশ। যার মধ্যে পরে ম্যান ইউ, ম্যান সিটি, চেলসি, লিভারপুল, বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস সহ বিশ্বের সব প্রথম শ্রেণির নামকরা ক্লাবগুলি। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল এটিকে মোহনবাগান, বেঙ্গলুরু এফসি, এফসি গোয়া বা চেন্নাইয়ান এফসির নামও। আইএসএলের এই অনন্য ,সম্মানে খুশি ভারতীয় ফুটবল মহল।
আরও পড়ুনঃহঠাৎ কেনও কার্লোস ব্রাথওয়েটকে ব্যালন ডি'অর দেওয়ার দাবি জানাল আইসিসি
আরও পড়ুনঃচিনে নিন বিশ্বের সব থেকে সেক্সিয়েস্ট ফুটবল রেফারিদের, যাদের রূপ ঝড় তোলে হৃদয়ে
ওয়ার্ল্ড লিগস্ ফোরামে আইএসএল জায়গা করে নিতে পারায় উচ্ছ্বসিত এফএসডিএল-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি। বলছেন,'এই ফোরামের তালিকায় স্থান পাওয়াটা অত্যন্ত সম্মানের। ফুটবল বিশ্বে যে ভারত নজর কাড়ছে আর আইএসএলের যে সেখানে ভূমিকা রয়েছে, এটা তারই স্বীকৃতি। ২০১৪ সালে আত্মপ্রকাশের সময়ই ভারতীয় ফুটবলকে নয়া দিশা দেখানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা। সেই মতোই দেশের উঠতি প্রতিভাদের জন্য মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছি। আগামিদিনে আরও উন্নতি করব বলেই আশাবাদী আমরা।' ওয়ার্ল্ড লিগ ফোরামের জেনারেল সেক্রেটারি জেরোম পার্লামিউটার জানিয়েছেন, ‘খুব আনন্দ এবং সম্মানের সঙ্গে আইএসএল’কে আমরা প্রোফেশনাল ফুটবল ফ্যামিলিতে স্বাগত জানাচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএসএল অনেককিছু অর্জন করেছে এবং পরবর্তীতে এশিয়ার মেজর লিগ হিসেবে নিজেকে প্রতিপন্ন করবে বলেই বিশ্বাস।' আইএসএল এর সাফল্যে আগামী দিনের ভারতীয় ফুটবলের সাফল্য মান আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।