করোনা ভাইরাসের জেরে এই মুহূর্তে ঘরবন্দি গোটা বিশ্ব। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চলছে লকডাউন। মন্ত্র একটাই স্টে হোম। বিশ্বের তাবড় তাবড় ক্রীড়া ব্যক্তত্বরাও বর্তমানে গৃহবন্দি। সময় কাটাতে করতে হচ্ছে নানা রকম কাজ। কিন্তু যেইসব ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা স্টাইল সচেতন, তাদের পক্ষে সময়টা আরও কঠিন। কারণ লকডাউনের জেরে বন্ধ সমস্ত পার্লার, সেলুন। তেমনই একজন হলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বিশ্বের ক্রীড়াবিদদের মতো তিনিও এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু চুলের স্টাইল নিয়ে বরাবরই খুঁতখুঁতে সি আর সেভেন। শোনা যায় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময় থেকে প্রতি সপ্তাহে ম্যাচের আগে নাপিতের দ্বারস্থ হতেন তিনি। ম্যান ইউ ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে নয় বছর কাটিয়ে এখন যোগ দিয়েছেন জুভেন্তাসে, চুল কাটার সে রীতি চালু আছে এখনও। কিন্তু কিন্তু চুলের বৃদ্ধিতে লকডউন মানে না। অগ্যতা 'নেই মামার থেকে কানা মামা ভাল' পন্থাই অনুসরণ করলেন পর্তুগীজ তারকা। হেয়ার কাট করতে বান্ধবী জর্জিনার শরণাপন্না হলেন জুভেন্তাস তারকা। সোশাল মিডিয়ায় শেয়ারও করলেন নিজের হেয়ার কাটের ভিডিও।
আরও পড়ুনঃকরোনার কোপে ৮ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটারের বিয়ে, আপাতত স্থগিত তাদের সাত পাকে বাধা
চুলের স্টাইল নিয়ে যে তিনি একদমই আপস করতে রাজি নন। তাই তো ন্ধবী জর্জিনা রড্রিগেজকে নাপিত বানিয়ে বেশ করে চুল কেটে নিয়েছেন ঘরবন্দি রোনাল্ডো। সোশাল সাইটে শেয়ার করা ভিডিওটিতে দখা যাচ্ছে, রোনাল্ডোকে একটি চেয়ারে বসিয়ে হেয়ার ড্রেসারের ভূমিকা নিয়েছেন জর্জিনা। একটি হুডি জ্যাকেট পরে জর্জিনা একদম পাকা হেয়ার ড্রেসারের মতো ইলেকট্রিক ট্রিমার দিয়ে রোনাল্ডোর চুল মেপে মেপে কেটে দিচ্ছিলেন। ভিডিওর ক্যাপশন হিসেবে লিখেছেন, ‘জিও’র হেয়ারস্টাইল।’ ভিডিওটি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলেও পোস্ট করেছেন সিআর সেভেন।
এর আগে ঘরবন্দি অবস্থায় স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে দিয়ে চুল কাটিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাও আবার রান্না ঘরের কাচি দিয়ে। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন বিরুষ্কা জুটি। যা ভাইরালও হয়েছিল। এবার বান্ধবী জর্জিনাকে দিয়ে রোনাল্ডোর চুল কাটানোর ছবি শেয়ার করার কিছুক্ষণের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। তারকা ফুটবলারের পায়ের কারিকুরিতে তো বটেই, চুলের স্টাইলেও বারবার মুগ্ধ হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। বান্ধবী জর্জিনা সেই তকমা ধরে রাখতে পারে কিনা এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুনঃকরোনার কোপে স্থগিত হয়ে গেল ফিফা অনুর্ধ্ব ১৭ ও ২০ মহিলা বিশ্বকাপ