প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান ছিল ২৫। আর দুটি ম্যাচ জিততে পারলেই ছিল কেল্লাফতে। অবসান ঘটত ৩০ বছরের অপেক্ষার। ফের একবার ইপিএলের খেতাব ঢুকত লিভারপুলের ঘরে। ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতেন সালহা, মানে, ফির্মিনো, সাকেরিরা। কিন্তু সব কিছুতেই বাধ সাধল করোনা ভাইরাস। ইউরোপের যে কটি দেশের ব্যাপক থাবা বসিয়েছিল করোনা ভাইরাস তাদের মধ্যে অন্যতম ইংল্যান্ড। পরিস্থিতি বিচার করে ইউরোপ তথা বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় লিগ ইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ে। ফের লিগ কবে থেকে শুরু হবে তা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। কিন্তু ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বরিস জনসনের কথায় ফের আশার আলো দেখছে ইপিএলের ক্লাবগুলি। আশার আলো দেখছে বিশ্ব জুড়ে ফুটবল প্রেমিরা। আর সব থেকে বেশি নতুন আশায় বুক বাঁধছে উর্গান ক্লপের লিভারপুল দল। ইঁল্যান্ডের সরকার করোনা মোকাবিলায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি ৫০ পাতার নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই নির্দেশিকায় দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলো চালু করার ভাবনা। কিন্তু সেই দ্বিতীয় ধাপ ১ জুনের আগে শুরু করা যাবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বরিস জনসন সরকারের নির্দেশিকার পর জুন থেকেই প্রিমিয়ার লিগ শুরু করার তোরদোর নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে পয়লা জুন থেকেই শুরু হতে পারে ইপিএল।
আরও পড়ুনঃপয়লা জুন থেকে ফিরতে পারে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ,ইঙ্গিত ইংল্যান্ড সরকারের
আরও পড়ুনঃপ্রথম ভারতীয় হিসেবে 'ফেড কাপ হার্ট' অ্যাওয়ার্ড পেলেন সানিয়া মির্জা, জিতলেন দেশবাসীর হৃদয়ও
এই নির্দেশিকার পরই কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে লিভারপুলের শিবিরে। ৩০ বছরের যন্ত্রণা ভুলে ফের ইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছে য়ুর্গেন ক্লপের দল। ১৯৯০-এর পরে ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য লিভারপুলের প্রয়োজন মাত্র ৬ পয়েন্ট। ২৯ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষে রয়েছেন মহম্মদ সালাহ, সাদিয়ো মানেরা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যাঞ্চেস্টার সিটির পয়েন্ট ২৮ ম্যাচে ৫৭। এই পরিস্থিতিতে বাকি ৯টি ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে জিতলেই ৮৮ পয়েন্ট হবে লিভারপুলের। ফলে ম্যান সিটি শেষ দশটি ম্যাচে জিতলেও ৮৭ পয়েন্টের বেশি পাবে না। তাই লিগ শুরুর খবরে উজ্জীবিত লিভারপুল শিবির। প্লেয়ারদের মধ্যেও লক্ষ্য করা গেছে উন্মাদনা। কবে থেকে অনুশীলনের অনুমতি মিলবে সেদিকেই তাকিয়ে ইপিএলের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নরা। যদিও সব কিছুর মাঝেও ক্লাবের ফুটবলার,কোচ ও সাপোর্টিং স্টাফ ও কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে তৎপর ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ইতিহাস সৃষ্টির আনন্দে কোনওভাবেই ঝুঁকি নিতে নারাজ লিভারপুল কর্তৃপক্ষ। সব দিক সুনিশ্চিত করেই মাঠে ফিরতে চাইছে উর্গান ক্লপের দল। সমস্ত বাধা বিপত্তিকে জয় করে ফের একবার ইতিহাস সৃষ্টির জন্য মরিয়া লিভারপুল।