চুক্তি জটে সংঘর্ষে জড়াল লাল-হলুদের দুই পক্ষ, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামল পুলিস

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা ময়দান। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামতে হয় পুলিসকে। অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 21, 2021 12:34 PM IST / Updated: Jul 21 2021, 06:31 PM IST

বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের দেওয়া চুক্তি সাক্ষর নিয়ে জটিলতা ও ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে বুধবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গল তাবু চত্বর। লাল-হলুদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ সামাল দিতে ময়দানে নামতে হল পুলিসকে। বেশ কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে আভাস পাওয়া যাচ্ছিল ২১ জুলাই কিছু একটা ঘটতে চলেছে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীতে। সেই আশঙ্কা সত্যি হল বুধবার দুপুরে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে কালিমালিপ্ত হল শতবর্ষ পার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের গ্লানি। 

আরও পড়ুনঃটোকিও অলিম্পিকে কোন ভারতীয় অ্যাথলিটরা জিততে পারে পদক, দেখে নিন সেরা ১২ জনের তালিকা

বুধবার বেলা একটার আগে থেকেই ক্লাব প্রাঙ্গনে জড়ো হতে শুরু করেছিল বর্তমা ক্লাব প্রশাসকের বিরোধী গোষ্ঠীর সমর্থকরা। তাকপরই ধীরে ধীরে ক্লাব কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ সমর্থকরা। দুই পক্ষের জমায়েতই বড় আকার নেয়। তারপরই শুরু হয় একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান। স্লোগান থেকেই কথাকাটা ও তারপর ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী। কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব প্রাঙ্গন। পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে অনুমান করে আগে থেকেই মোতায়েন করা ছিল পুলিস। তাই খুব বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই পুলিসি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

আরও পড়ুনঃটোকিও অলিম্পিকে দেখা যাবে একাধিক নতুন খেলা, জানুন তার বিস্তারিত তথ্য

আরও পড়ুনঃঅলিম্পিকের সাজে হাওড়া ব্রিজ, আলোর রোশনাই দেখে চোখ জুড়াবে আপনারও

প্রসঙ্গত, বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তি জট নিয়ে সমস্যা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বিনিয়োগকারীদের শর্তাবলী মানতে নারাজ বর্তমান ক্লাব কর্তৃপক্ষ। একাধিকবার বৈঠকের পরও মেলেনি রফা সূত্র। যার ফলে শুধু আইএসএল নয়, চলতি বছরে কোনও প্রতিযোগিতায় ইস্টবেঙ্গল অংশ নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। ক্লাব বিক্রি করে কোনও চুক্তি বিপক্ষে যেমন রাস্তায় নেমেছে লাল-হলুদ সমর্থকরা। ঠিক তেমনই চুক্তি মেনে নিয়ে ফুটবলে ফেরার পক্ষেও মত রয়েছে একটা বড় অংশের।  তবে সমাধান তো দুরস্থ, নিজেরেই সংঘর্ষে জড়িয়ে সেই সমস্যাকে আরও বড় আকার দিল বলেই মনে করছে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।

Share this article
click me!