মহামারি কার্বন ডাই অক্সাইড কমালেও ১০০ বছরেও পুরণ হবে না ক্ষতি, জানাল রাষ্ট্র সংঘ

মহামারির বিশ্বে বেড়েছে অক্সিজেনের পরিমাণ। আর অন্যান্য বছরগুলির তুলনায় অনেকটাই কমেগেছে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ। তেমনই জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তেনিও গুতেরেস। ইউনাইটেড ইন সায়েন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চলতি বছর করোনাভাইরাসের কারণে  ৪-৭ শতাংশ হারে কার্ডন ডাই অক্সাইড বা সিও২ নিঃসরণ কমেছে বিশ্বে। সংক্রমণ রুখতে এপ্রিলের গোড়ার দিক থেকে লকডাউনের পথে হেঁটেছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। আর ওই সময় কার্ডন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ ১৭ শতাংশ কমে গিয়েছিল। যা ছিল গত ২০০৬ সালের সমান। তবে জলবায়ুর পরিবর্তন অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান হয়েছে রিপোর্ট। গ্রিনহাউস গ্যাস নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে এখনই যদি গোটা বিশ্ব কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন বন্ধ করে দেয় তাহলেও ১০০ বছরের বেশি তার প্রভাব থাকবে। 

Asianet News Bangla | Published : Sep 11, 2020 10:37 AM IST

110
মহামারি কার্বন ডাই অক্সাইড কমালেও ১০০ বছরেও পুরণ হবে না ক্ষতি, জানাল রাষ্ট্র সংঘ

 রাষ্ট্র সংঘের প্রতিবেদনে আশার আলো দেখালেন অ্যান্তেনিও গুতেরেস। তিনি বলেলেন বর্তমান করোনা বিশ্বে কিছুটা হলেও বেড়েছে অক্সিজেনের পরিমাণ। 

210

মহামারির সঙ্গে লড়াই করার জন্য এপ্রিলের প্রথম দিকে অধিংকাশ দেশই লকডাউনের পথে হেঁটেছে। প্রায় বন্ধ ছিল উৎপাদন। তার তারই প্রভাব পড়েছে প্রকৃতির ওপর। 
 

310

রাষ্ট্র সংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এপ্রিল মাসের প্রথম দিক থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ ২০১৯ সালের তুলনায় ১৭ল শতাংশ কমে গেছে। যা ২০০৬ সালের সমান। 

410

মহামারির প্রকোপ রুখতে বিভিন্ন দেশের সরকারি পদক্ষেপ নেওয়ার কারণেই সিও২ নিঃসরণের পরিমাণ কমেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্র সংঘ। 
 

510

ইন্টারন্যাশানাল এনার্জি সংস্থা আগেই এই ইঙ্গিত দিয়েছিল। এপ্রিলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল চলতি বছর বিশ্বে যে কোনও কৃত্রিশ শক্তির চাহিদা কমবে। আর সেই কারণে ধাক্কা খাবে বিশ্ব অর্থনীতি। তবে তার প্রভাব পড়বে প্রকৃতির ওপর।

610

রিপোর্টে বলা হয়েছিল, কার্বন ডাউই অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ অনেকটাই কমেবে। ১০ বছর আগের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও মনে করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল ৮ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে সিও২ নিঃসরণ। 
 

710

সিও২ নিঃসরণের হার এবার রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে ২০০৮ সালের আর্থিক মন্দার বছরকে। কারণ ওই বছরের তুলনায় কমেছে নিঃসরণ। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগের বছরগুলির তুলনায় এখনও তা দ্বিগুণ বলেও জানিয়েছে। 

810

তবে সিও১ নির্গমণের এই হ্রাস কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘণত্বের ওপর এখনও পর্যন্ত কোনও প্রভাব ফেলেনি। তবে আগামী দিনে অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে কী করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য লকডাউনের পথে হাঁটা যায় তাই নিয়েও আলোচনা শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

910

তবে গত ৫ বছরে কমেছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ২০২০তে বায়ুমণ্ডলীয় সিও২-র ঘণত্ব রেকর্ড তৈরি করেছিল। 

1010

 তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আশঙ্কা তেমন কমেনি। কারণ গ্রিনহাউস গ্যাসেরল ঘণত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অব্যাহত রয়েছে জলবায়ুর পরিবর্তন। রিপোর্ট বলা হয়েছে ২০২০ একটি অভূতপূর্ব বছর। যেখানে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, প্রায় থমকে গেছে অর্থনীতি। কিন্তু অব্যাহত রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos